রেলে বেনামি চিঠির তদন্ত, কমিটির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন

১৯৮২ সালের ৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ প্রজ্ঞাপন দিয়ে রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নামে বেনামে আসা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত বা শাস্তি না দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রেল পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) বেনামি চিঠিকে আমলে নিয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যদিও উড়ো চিঠির প্রেক্ষিতে কমিটি গঠনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রেল পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষার গত ২৩ সেপ্টেম্বরে আরএনবির চিফ ইন্সপেক্টর (সিআই) আমানউল্লাহ আমানসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বেনামি চিঠিতে পাওয়া অভিযোগ তদন্ত করতে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করেন উক্ত দপ্তরের প্রধান সহকারী আবুল বাশার। কমিটির সদস্যরা হলেন, আহবায়ক সত্যজিত রায়, এসি আরএনবি, সদস্য সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী জাহিদ হাসান।

জানা যায়, একরামুল শিকদার ও আশিকুর রহমান নামে নাগরিক সমাজ, পোর্ট কলোনি বন্দর চট্টগ্রাম উল্লেখ করে সিজিপিওয়াই বাহিনির চিফ ইন্সপেক্টর (সিআই) আমান উল্লাহসহ কয়েকজন সদস্যের নামে ২টি চিঠি দেন।। চিঠিতে তাদের বিরু্দ্ধে রেলের তেল চুরির সাথে জড়িত থাকাসহ নানা অভিযোগ আনা হয়। তবে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো এসব চিঠির অভিযোগকারী ভুয়া ও চিঠিগুলো বেনামি বলে নিশ্চিত করেছেন রেলের বিভিন্ন সূত্র।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনুসন্ধানেও চিঠি প্রেরকের নাম ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী আশিকুর রহমান পরিচয় দিয়ে যে নাম্বার চিঠিতে দেয়া হয়েছে তা আশিকুরের নয়। ওই নাম্বারে ফোন দিলে বলা হয় তার নাম আশিকুর নয়। উত্তেজিত কন্ঠে ওই নাম্বার ব্যবহারকারী বলেন, কে বা কারা আমার ব্যবহৃত নাম্বারটি দিয়েছে, ফলে অসংখ্য ফোন আসছে আশিকুর রহমানের খোঁজে, এতে বিরক্ত তিনি।

অপর অভিযোগকারী একরামুল শিকদারের কোন নাম্বার দেয়া নেই। তবে উভয়ের ঠিকানা এক, যদিও তার কোনো অস্থিত্ব নেই।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সত্যজিত রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত রিপোর্টে তা উল্লেখ করেছেন বলে জানান।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm