রেলে কর্মরত নন এমন কাউকে ডিজি পদে নিয়োগ না দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

রেলওয়েতে মহাপরিচালক (ডিজি) পদে রেলে কর্মরত নন এমন কাউকে নিয়োগ না দিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন। স্মারকলিপিতে তারা, রেলের দীর্ঘদিন চাকরি করা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিজি নিয়োগের আবেদন জানান।

রেলে কর্মরত নন এমন কাউকে ডিজি পদে নিয়োগ না দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি 1

১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য জোটের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি রেল সচিবের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর বিসিএস রেলওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড কমার্শিয়াল অফিসার্স এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও একটি স্মারকলিপি রেলপথ উপদেষ্টা বরাবরে প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী আগামী ৮ ডিসেম্বর পিএলআরে যাবেন। এর আগেই মহাপরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। বিসিএস (রেলওয়ে-প্রকৌশল) ও বিসিএস (পরিবহন ও বাণিজ্যিক)—এই দুই ক্যাডার পদ থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

রেলওয়েতে কর্মরত নয়, এমন ব্যক্তিতে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এমনটি হলে এটি হবে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ, রেলে কর্মরত নয়, এমন ব্যক্তিকে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে—যা সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার অন্তরায়।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রেলের বিভিন্ন স্তরে দীর্ঘ ত্রিশ বছর কর্মরত থাকার পর একজন কর্মকর্তা ধীরে ধীরে মহাপরিচালক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া কারও পক্ষে সুষ্ঠুভাবে রেলওয়ের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।

জানা গেছে, রেলওয়েতে প্রায় ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এ যাবৎকালে বিসিএস কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ হয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি রেলে কর্মরতদের বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার কথা শোনা গেছে। এরপর থেকেই রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগের জন্য রেল ভবন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টার সচিব বরাবরে আট জন কর্মকর্তার (বিসিএস) নামের তালিকা পাঠানো হয়। তারা হলেন—পার্থ সরকার ও আফজাল হোসেন (১৩তম বিসিএস), সলিমুল্লা বাহার, আহম্মেদ মাহবুব চৌধুরী ও ফরিদ আহম্মেদ মঈনুল ইসলাম (১৮তম বিসিএস); আল ফাতাহ মোহাম্মদ, ফকির মহিউদ্দিন (২০তম বিসিএস)।

এদিকে চট্টগ্রামের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মহাপরিচালক পদে রেলের বাইরের কাউকে নিয়োগ না দিতে মানববন্ধন করেছেন।

বাংলাদেশে রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য জোটের সাধারণ সম্পাদক এম আর মন্জু বলেন, ‘রেলের বাইর থেকে ডিজি, জিএম ও মুখ্যপদে নিয়োগ দিলে দীর্ঘদিন কর্মরতদের পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত হবে। অনভিজ্ঞ যে বা যারাই হোক, রেলের বাইরে কাউকে দিলেই সব শ্রমিক সংগঠন প্রতিবাদ করবে।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm