রেলের ৪৭ গেটকিপারের মানবেতর জীবন, ৪ মাস ধরে বন্ধ বেতন-ভাতা

৪ মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৪৭ জন অস্থায়ী গেটকিপার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মচারী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। ১ বছরের জন্য নিয়োগ পাওয়া ৪৭ গেটকিপারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর। চার মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে কম বেতনের এসব কর্মচারীর জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার।

জানা যায়, রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের ৪৭ জন গেটকিপারকে ১ জানুয়ারি ২০২০ এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় রেল। চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয় তাদের চাকরির মেয়াদ। বিষয়টি উল্লেখ করে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (পূর্ব) মহাপরিচালক বরাবরে চিঠি প্রেরণ করে করণীয় নির্ধারনের তাগিদ দেন। কিন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, ৪৭ গেটকিপারের চাকরির মেয়াদ শেষের পূর্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত বছরের ১১ ডিসেম্বর প্রথম চিঠি দেওয়া হয়। পরে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো চিঠিরই মিলেনি উত্তর। ফলে এখনো আটকে রয়েছে ৪৭ জন গেটকিপারের বেতন।

রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের প্রধান সহকারী (পূর্ব) নাঈম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘২টি চিঠি প্রেরণ করেও কোন উত্তর আসেনি। আমরা অপেক্ষা করছি।’ এ ব্যাপারে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পূর্ব) স্নেহাশিস দাশ গুপ্তের মুঠো ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আনোয়ার নামে একজন গেটকিপার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা এই লকডাউন চলাকালেও ডিউটি করছি, কিন্তু ৪ মাস ধরে বেতন পাইনি। আমরা কিভাবে আমাদের বউ বাচ্চা নিয়ে চলি। আমরা মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছি।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেইন বলেন, নানা জটিলতার কারণে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তিনি রোজার মধ্যেই বকেয়া পরিশোধ করার ব্যবস্থা করবেন উল্লেখ করে গেটকিপারদের নিশ্চিন্ত থেকে কাজ করতে বলেন।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সর্দার শাহাদাত আলী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বেতন সম্পর্কিত রেল কর্মচারীর যে কোন কাগজ আসা মাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে তিনি উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!