রেলওয়ের নিয়মানুযায়ী কোনো ট্রেনিং কোর্সে যদি প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত না থাকে তাহলে সেই ট্রেনিং কোর্সের পরীক্ষায় ওই প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
কিন্তু রেল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার আলীসহ ৩ প্রশিক্ষণার্থী রেলওয়ের গুডস এন্ড কোচিং ট্যারিফ বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ না নিয়েও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এ ঘটনাকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ২০ সদস্যকে চট্টগ্রামের হালিশহর ট্রেনিং একাডেমিতে (আরটিআই) গুডস এন্ড কোচিং ট্যারিফ বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে পাঠানো হয়। ১ নভেম্বর থেকে ২০ সদস্যের দল হালিশহর ট্রেনিং একাডেমিতে পৌঁছে। সাত সপ্তাহের এই ট্রেনিং আগামী ১৯ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা।
ট্রেনিং শেষে পরীক্ষা শুরু হলে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রেল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার আলীসহ ৩ প্রশিক্ষণার্থী এতে অংশ নেন। অথচ প্রশিক্ষণ চলাকালীন রেল আকতার আলী চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলাকালীন ছিলেন রাজশাহীতে। এ সময় তিনি অংশ নিয়েছেন তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে। এসবের ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে।
ট্রেনিং না করে রাজশাহীতে অবস্থান ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সভা সমাবেশের ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে আকতার আলী বলেন- ‘এগুলো আমার আইডি থেকে অন্য একজন পোস্ট করে।’ রাজশাহীতে নেতাদের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ছবি কিভাবে এলো এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দেননি।
আকতার আলীর মতোই রাজশাহীর বুকিং সহকারী-২ সাব্বির হোসেন, পার্বতীপুরের ট্রেনিং সহকারী-২ আইরিন নাহার ট্রেনিংয়ে অংশ না নিয়েই পরীক্ষায় অংশ নেন।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, ২০ জন সদস্যের ট্রেনিং বাবদ রেলওয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। এরপরও ট্রেনিংয়ে উপস্থিত না থাকা ব্যক্তিদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ যারা দিয়েছেন তারা বড় ধরণের অনিয়ম করেছেন। তারা এ ঘটনায় জড়িত চট্টগ্রাম হালিশহর ট্রেনিং একাডেমির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুডস এবং ট্যারিফ বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের ইনচার্জ আবুল কাসেম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন- ‘আসলে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তারা ছুটি নিয়েছে কি-না তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রাম হালিশহর ট্রেনিং একাডেমির রেক্টর মনির হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন ও এসএমএস করলেও তাঁর সাড়া মিলেনি।
জেএস/এমএফও