রেলের বিলাসী কোচে কক্সবাজার যাবেন পর্যটকরা, ৪৪২ কোটি টাকার প্রকল্প

রেললাইন তৈরির কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা থেকে পর্যটকরা বিলাসবহুল ট্যুরিস্ট কোচে করে যেতে পারবেন কক্সবাজারে। ইতিমধ্যে অত্যাধুনিক ৫৪টি ট্যুরিস্ট কোচ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এসব কোচে পর্যটকদের জন্য থাকবে বিশেষ বিশেষ সুবিধা।

প্রস্তাবিত ৫৪টি কোচের মধ্যে থাকছে ছয়টি মিটার গেজ ট্যুরিস্ট কোচ (সিটি), ১৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কার (ডব্লিউজেসি), ২২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার (ডব্লিইজেসিসি), সাতটি পাওয়ার কার (ডব্লিউপিসি) এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাইনিং কার ও গার্ড ব্রেক (ডব্লিউজেডিআর)।

জানা গেছে, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে সাধারণ ট্রেন দিয়ে পথটি সচল রাখা হবে। এর মধ্যে ট্যুরিস্ট কোচ এসে গেলে স্পেশাল ট্রেন হিসেবে ট্যুরিস্ট কার চালু করা হবে ওই রেলপথে। রেলপথ নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গেই যেন ট্যুরিস্ট কোচ চালু করা সম্ভব— এজন্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে এগোতে চাইছে রেল মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, ‘প্রকিউরমেন্ট অব ৫৪ ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ ফর অপারেটিং ট্যুরিস্ট ট্রেন ফর ট্যুরিস্ট অব কক্সবাজার’ প্রকল্পের আওতায় বিলাসবহুল এই ট্যুরিস্ট কোচগুলো সংগ্রহ করা হবে। এই প্রকল্পে ৫৪টি কোচের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৫১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

এ হিসাবে প্রতিটি কোচ আমদানিতে খরচ পড়বে ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সাধারণত রেলের প্রতিটি মিটার গেজ কোচ আমদানিতে গড়ে ব্যয় হয় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা।

প্রস্তাবটি রেল মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ৯৬ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বাকি ৩৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে দিতে চীনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে এই প্রকল্পটি রাখা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!