রেলের দখল বেদখলে লেনদেনের খেলা

তদন্তে সত্যতা পেয়েছে দুদক

রেলের জায়গা দখল করে ঘর, দোকান ও মার্কেট নির্মাণ করার মাধ্যমে সেগুলো ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অধিকাংশ অবৈধ স্থাপনা থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে দুদক।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বন্দর পোর্ট কলোনি, ভেলুয়ারদীঘি, আমবাগান ও আরএনবিতে দুদক হটলাইন-১০৬-এ অভিযোগে জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক ফকরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধেকের চেয়ে বেশি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা থাকার সত্যতা পেয়েছে দুদক। শুধু তাই নয়, এসব স্থাপনাসহ রেলের ট্রেনিং সেন্টার ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে রেল সংশ্লিষ্ট লোকজন।

দুদকের সহকারী পরিচালক ফকরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ১০৬-এ কল পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি জায়গায় দুদক টিম অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রেলওয়ে জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অর্ধেকের বেশি অবৈধ স্থাপনা থেকে অর্থ আত্মসাত করার সত্যতা পাওয়া যায়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রেলের সমস্ত জায়গা উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে দখল বাণিজ্য করেও তা ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!