চট্টগ্রাম নগরীতে রেলওয়ের চলমান উচ্ছেদ অভিযানে সোমবার (১১ নভেম্বর) জিএম বাংলোর আশপাশ, গ্রামীণ টাওয়ার, অফিসার্স কলোনি, লেডিস ক্লাব সংলগ্ন এলাকা, সেগুন বাগান এলাকায় ২০০ স্থাপনা ও এক একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিভিশনাল অফিসার (পূর্ব) বোরহান উদ্দিন। রেলওয়ে আরএনবি চিফ ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ আমান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত সপ্তাহে আমবাগানে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে হামলার শিকার হয় উচ্ছেদ কর্মীরা। এ ঘটনার ৩ কর্মী আহত হয়। কিশোর গ্যাং প্রধান শামসুল আলমের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনায় খুলশী থানায় মামলা হলেও তাতে নাম আসেনি আলমের।
সূত্র জানায়, হামলার মূলহোতা আলম রেলওয়ের সিসিএস অফিসে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললেও ব্ল্যাক লিস্টেড হয়নি তার লাইসেন্স। তাকে মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগও নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিসিএস) গোলাম আম্বিয়াকে আলমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে কি না জানতে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রেলওয়ের ঠিকাদারদের অভিযোগ, অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হোসেনের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগাভাগি করে চলেছে দীর্ঘদিন।
রেলওয়ে ডিভিশনাল অফিসার (পূর্ব) বোরহান উদ্দিন বলেন, রেলকর্মীর ওপর হামলাকারী যেই হোক— রক্ষা পাবে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
উচ্ছেদ বিষয়ে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ করতে সমস্যা আসবে জানি। তবু উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হবে না।
জেএস/সিআর