কিছুক্ষণ পর পর লেগুনা ও বিদ্যুৎচালিত অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে আসছে প্লাটফর্মে। আবার অনেক গাড়ি আসছে স্টেশনে ট্রেন আসার আগে। এসব লেগুনা, অটোরিকশা ছাড়াও মাঝেমধ্যে কিছু পিকআপও চলাচল করছে প্লাটফর্ম দিয়ে। এই প্লাটফর্ম যেন গাড়ি চলাচলের রাস্তা।
এমন দৃশ্য প্রতিদিনই চোখে পড়বে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা রেলস্টেশনে।
ট্রেনে যাত্রী ওঠানামার করার জন্য কোটি টাকা খরচায় তৈরি করা প্লাটফর্মে এভাবে গাড়ি চলাচল করায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অনেকগুলো গাড়ি আবার দীর্ঘসময় ধরে পার্কিং করে এ প্লাটফর্মে। ফলে ভেঙে যাচ্ছে প্লাটফর্মের ফ্লোরে বসানো টাইলস। সঙ্গে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে নির্মিত একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন। একটি মাত্র স্পেশাল ট্রেনের দৈনিক ৩০টি টিকিট বিক্রি হলেও এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি কার্যক্রম। আর এ সুযোগে রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম লেগুনা ও বিদ্যুৎচালিত অটোরিকশার দখলে চলে গেছে। প্লাটফর্ম থেকেই ভাড়া নিয়ে ডুলাহাজারার মালুমঘাট, চকরিয়া বাস টার্মিনাল, চকরিয়া পৌরসভা, ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপিটাল, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছে এসব গাড়ি।
এ বিষয়ে জানতে পরিবহন বিভাগে যোগাযোগ করা হলে বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিবহন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম বলেন, ‘স্টেশনের পুরো দায়িত্ব আমাদের নয়। তারপরও এ বিষয়ে আমরা স্টেশন মাস্টারকে চিঠি দিয়েছি। আপনি প্রকৌশল বিভাগে যোগাযোগ করেন।’
অন্যদিকে বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মো. ইমতিয়াজ বলেন, ‘প্রজেক্টের অধীনে কাজ হচ্ছে। এটি তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব। এছাড়া এখানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও মাস্টার রয়েছে। পুরো স্টেশন দেখভাল দায়িত্ব মাস্টারের। আপনি পরিবহন বিভাগে যোগাযোগ করেন।’
প্রকৌশল বিভাগ ব্যারিকেড দিয়ে প্লাটফর্মে যানবাহন চলাচল বন্ধ করছে না কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে আমাদের করার কিছু নেই। আপনি প্রজেক্টের লোকজনের কাছে প্রশ্ন করেন।’
সিএম/ডিজে