রেজিস্ট্রেশন ফির ৫০০-৬০০ টাকা ফেরত পাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

১৪ লাখ শিক্ষার্থী দিয়েছে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের কারণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা ফরম পূরণের আংশিক টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।

ফল প্রকাশের পর ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেটের সঙ্গে এই টাকা ফেরত দেয়া হবে। এজন্য একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রতি বছরের ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হলেও করোনার কারণে এবার সেটি সম্ভব হয়নি। পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাস দেয়ার সিদ্ধান্ত আসার পর থেকেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য নেওয়া ফি ফেরতের দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা।

সারা দেশে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন আর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষা বোর্ডে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।

সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের বৈঠকে পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে শিক্ষার্থীরা খুব বেশি টাকা ফেরত পাবেন না। কারণ বেশিরভাগ টাকা উত্তরপত্র তৈরি, কেন্দ্র বুকিং, ফরম পূরণ, এডমিট কার্ড ও সার্টিফিকেট বিতরণের কাজে খরচ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ফেরত দেওয়া হতে পারে। তার মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক একটু বেশি টাকা ফেরত পাবে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অর্থের কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ফল প্রকাশের পর কলেজে যখন শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট নিতে যাবে, সেই সময় সার্টিফিকেটের সঙ্গে টাকাটা ফেরত দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। খুব শিগগিরই সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের খুব বেশি টাকা ফেরত দেয়ার সুযোগ নেই। কেননা অধিকাংশ টাকাই পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে ব্যয় হয়ে গেছে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!