রিয়াজউদ্দীন বাজারে আগুনে মারা গেলেন ৩ জন, দুই নারী হাসপাতালে

সরু গলির কারণে আগুন নেভাতে দেরী

চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজারের দুটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুই নারী। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

নিহতরা হলেন—সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম গাড়িয়ান টাঙ্গা এঁওচিয়া ইউনিয়নের শামসুল আলমের ছেলে মো. রিদুয়ান (৪৫), একই উপজেলার কুতুব পাড়া মিজ্জারকিল বাংলাবাজারের বেঠা মিয়ার ছেলে মো. শাহেদ (১৮) ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।

আহত দুই নারী চট্টগ্রাম মেডিকেলের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। সম্পর্কে তারা মা-মেয়ে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে রেজওয়ান কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। মার্কেটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় মোবাইল এক্সোসরিজ, তৃতীয় তলা থেকে অফিস, গুদাম ও মেস আছে। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে মোহাম্মদিয়া প্লাজায়। ভবন দুটিতে রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীরা থাকেন। একইসঙ্গে ভাড়া ফ্যামিলি বাসাও রয়েছে।

আগুনে ভবনজুড়ে ধোঁয়া সৃষ্টি হলে অনেকে আটকা পড়েন। মূলত রাস্তা সরু এবং এক ভবনের সঙ্গে আরেক ভবন লাগোয়া হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। পরে প্রধান সড়ক থেকে পাইপ দিয়ে পানি ছড়ায় তারা।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আগ্রাবাদ, লামারবাজার, নন্দনকানন ও চন্দনপুরাসহ চারটি স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ভোর সাড়ে ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি৷

প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

আগুনে নিহতদের মেডিকেল আনতে সহায়তাকারী মিনহাজ রহমান বলেন, আগুন লাগার পরপরই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়। এত ধোঁয়ার মধ্যে আমরা চোখে কিছু দেখতে পারছিলাম না। অনেকজনের অবস্থা বেশি খারাপ ছিল, তাদের নিয়ে মেডিকেলে আসি। এর মধ্যে তিন জনকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক বলেন,  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জন মারা গেছেন। আহত দুই নারী ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কেটে বাতাস চলাচলের সুযোগ না থাকায় আগুন নেভাতে সময় লেগেছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm