রাষ্ট্রপতি পদে চট্টগ্রামের মোশাররফের নাম আলোচনায়, আছেন আরও চার

আসছে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই মধ্যে এর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন সবার কৌতূহল একটিই— রাষ্ট্রপতি পদে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।

নতুন রাষ্ট্রপতি পদে যে কয়েকটি নাম আলোচনায় রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও। আওয়ামী লীগের সদ্যসমাপ্ত কাউন্সিলে তাকে এবার এক নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি পদে এছাড়া আরও আলোচনায় আছেন— প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদের মধ্য থেকে যে কেউ বসতে পারেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদটিতে।

শুরুতে অবশ্য সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নামও আলোচনায় ছিল।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিল মাসে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল প্রথম দফায় রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার পর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি।

জানা গেছে, আবদুল হামিদের মেয়াদ যেহেতু আগামী এপ্রিলেই শেষ হচ্ছে, সেই হিসেবে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। সংসদে যেহেতু আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, ফলে দলটি যাকে মনোনয়ন দেবে, তিনিই রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসবেন।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি নিজে বিভিন্ন ব্যক্তির মতামতও নিচ্ছেন। তবে দলীয় সভাপতি নিজের পছন্দের কথা এখনও জানাননি কাউকে।

ধারণা করা হচ্ছে, চলতি জানুয়ারির শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানা যাবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে কে আসতে পারেন, এ বিষয়ে কাজ করছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকেই রাষ্ট্রপতি করা হবে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm