রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে শুনানির জন্য প্রস্তুত নয় বলে সাত দিন সময় চেয়েছেন। আদালত এ মামলার শুনানির জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে সাত দিন সময় দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমানের আদালতে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী হাজির হন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুতির অভাবে শুনানিতে অংশ না নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাত দিন সময় মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসামী আনোয়ার হোসেন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছেন। মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমানের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের গত ৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হলে তা পাঁচলাইশ থানায় এফআইআর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার শুনানীর সময় রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ছাড়াও বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং আসামী পক্ষের ছিলেন অ্যাডভোকেট আক্তার কবীর। প্রসংঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলারও অন্যতম আসামী।
গত ২০১৮ সালে চবি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযোগ এনে মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগে চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের তৎকালীন সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান তানভীর বাদী হয়ে সিএমএম আদালতে দণ্ডবিধির ১২৩ (ক), ১২৪ (ক), ১৭৭, ৫০০, ৫০১ ও ৫০২ ধারায় মামলার আবেদন জমা দিয়েছিলেন।
আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এজাহার গ্রহণের জন্য পাঁচলাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আগামী সাতদিনের মধ্যে আবার শুনানী হবে। সেদিন আদালত রায় দিবেন। আজকে আসামী আনোয়ারও উপস্তিত ছিলেন।’
এএস