রাতে এক চেয়ারম্যানকে নিয়ে পটিয়ায় রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা, নেপথ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে একঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে পটিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সবুজ।

এ সময় খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পাহারা দিয়ে রাত ৯টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।

জানা গেছে, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ডিএম জমির উদ্দিন ও তার অনুসারীদের মধ্যে জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজের অনেক আগে থেকেই রাজনীতির আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল রাতে তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় জমির উদ্দিনসহ তার অনুসারী আরও তিন যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন থানায় পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাবেক শিল্প ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণসভা শেষে ডিএম জমির উদ্দিন ও তার অনুসারীরা বহর নিয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মুখে অবস্থান নেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজ ও তার অনুসারীদের মুখোমুখি হওয়ার আশংকা দেখা দেয়।

এদিকে খবর পেয়ে পটিয়া থানার ওসিসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করে পুলিশ পাহারায় ইউপি চেয়ারম্যান সবুজকে নিরাপদে ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছে দেয়।

ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজ বলেন, ‘পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে শনিবার রাতে একটি বৈঠক ছিল। ওই বৈঠক চলাকালে ডিএম জমির উদ্দীনের নেতৃত্বে কিছু যুবক আমাদের ওপর হামলার করার পরিকল্পনা নেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি থানা পুলিশকে অবহিত করি।’

তবে যুবলীগ নেতা ডিএম জমির উদ্দিন বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন সবুজ ও তার অনুসারীরা কিছুদিন আগে অতর্কিতভাবে আমাকে ও আমার অনুসারীদের গুলি করে আহত করে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছিলাম। ইউপি চেয়ারম্যানকে হামলার কোন পরিকল্পনা আমরা করিনি।’

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে পূর্ব নিধার্রিত একটি বৈঠক ছিল চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজের। রাত আটটার দিকে ওই বৈঠকে চেয়ারম্যান সবুজও উপস্থিত ছিলেন। তবে চেয়ারম্যানের ধারণা ছিল তার প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করতে পারেন। এমন খবর পেয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশ অবস্থান নেয়। তবে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm