রাতে আনন্দে থাকা পতেঙ্গার কলেজ ছাত্রী ভোরে করলেন আত্মহত্যা

ট্রাক চালক শ্রীরাম দাশের মেয়ে সঙ্গীতা (১৮)৷ কলেজে পড়ে। বাবা-মায়ের বড় সন্তান। প্রতিদিনের মতই সবার সঙ্গে স্বাভাবিক ছিল সে। রাতে খেয়েছেও মা আর দুই ভাইয়ের সাথে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাতে মোবাইল নিয়ে ইউটিউব দেখে সাজুগুজু করেছে বেশ আনন্দে। কিন্তু রাতে আনন্দমনে থাকা সঙ্গীতার মন ভোরে হয়তো ভরে উঠে বিষাদে। তাই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে সঙ্গীতা।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার উত্তর পতেঙ্গা জেলেপাড়ায় সঙ্গীতাদের বাসা।

সঙ্গীতার বাবা শ্রীরাম দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ট্রাকের ড্রাইভার। গাড়ি নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলাম। বাড়িতে ছিল সঙ্গীতা, ওর ছোট দুই ভাই ও ওর মা। আমার মেয়ে কেন এ রকম করল আমরা কেউ জানিনা।’

তিনি বলেন, ‘২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে সঙ্গীতা দাশই সবার বড়। এইচএসসিতে পড়ত পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন বালিকা মহাবিদ্যালয়ে। এক মেয়ে হওয়াতে আদর আহল্লাদের কমতি ছিল না। পড়ালেখার জন্য মোবাইল চেয়েছিল। সেটিও কিনে দিয়েছিলাম। গতকাল সারাদিন বাসায় সবার সাথে কথা বলেছে। রাতে ভাত খেয়ে ইউটিউব দেখে সাজগোছ করেছে। রাতে সবার সাথে কথা বলে ঘুমাতে গেলো। ভোরে উঠে সবাই দেখে আমার মেয়েটা রশিতে ঝুলছে।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিকেল ৩টার দিকে পতেঙ্গা থানার সঙ্গীতাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। স্বজনরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে পতেঙ্গায় নিজ বাসায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সঙ্গীতা।কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনেক আগেই সঙ্গীতা দাশের মৃত্যু হয়েছে।’

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!