রাতের চট্টগ্রামে বান্ধবীসহ ‘বাইকার’ ছাত্রলীগ নেতা নিহত

রাতে চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণ-তরুণী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

রাতের চট্টগ্রামে বান্ধবীসহ ‘বাইকার’ ছাত্রলীগ নেতা নিহত 1

মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে পাথরবাহী মিনি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা আল ইমরান ইফতি ও তার বান্ধবী নাহিন সুলতানা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

দুর্ঘটনার পরপরই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের ওয়াসা ও জিইসি মোড়ের মধ্যবর্তী অংশে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বছর বয়সী আল ইমরান ইফতি চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। অন্যদিকে তার বান্ধবী ২১ বছর বয়সী নাহিন সুলতানা সিটি কলেজেরই ছাত্রী।

ইফতির বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি দারোগারহাট এলাকার শাহেদ পাড়ায়। তার বাবার নাম ইউনুস মোল্লা। অন্যদিকে নাহিন সুলতানার বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার গোয়াখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডে।

জানা গেছে, দুজনই বাইকার গ্রুপের সদস্য।

ঘটনার আগের মুহূর্তের বিবরণ দিয়ে ইমরান হোসেন নীল ফেসবুকে লিখেছেন— ‘লালখান বাজার হয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠবো। রেডিসন ব্লু এর কাছাকাছি পেছন থেকে কেউ একজন জোরেশোরে হর্ণ দিচ্ছিলেন। ইন্ডিকেটর দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সাইড নিয়ে তারে যে সাইড দেবো সে সুযোগও দিলো না। একপ্রকার আমার গাঁ ঘেঁষেই ফিমেল আরোহীসহ ঝুঁকি নিয়েই ওভারটেক করলো। রানিংয়ে আরোহীকে চেনা মনে হয়েছিলো। তাদের বাইকের গতি বেশি থাকায় খুব একটা খেয়াল করতে পারিনি।
বহদ্দারহাট পেরোতেই শুনি আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার বাইক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। লোকজন বলাবলি করছিলো, ওয়াসা ও জিইসি মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে ফ্লাইওভারের উপরে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের ধাক্কায় ফিমেল আরোহীসহ বাইকচালক গুরুতর আহত হয়েছে। বাঁচার সম্ভাবনাও নেই তাঁদের। তবে এদের দুজনকেই হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এসব শুনে খুব খারাপ লাগছিলো। মনে একপ্রকার চাপা আতংক কাজ করছিলো। রেডিসন ব্লু এর সামনে যে বাইকটি আমাকে ওভারটেক করলো সে বাইকের ফিমেল আরোহীকে চেনা মনে হয়েছিলো। তাঁরা এক্সিডেন্ট করলো না তো…!
ঘটনাস্থলে যাবো ঠিক এমন সময় পুলিশ সূত্রে জানতে পেরেছি আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মো. ইমরান প্রকাশ ইফতি ও নাহিন সুলতানা দুজনেই মারা গেছেন। তাদের ছবি দেখে খুবই মর্মাহত হলাম। মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেও তারা দ্রুতগতিতে আমাকে ওভারটেক করে গেলো। দ্রুতগতির এ যাওয়া যে তাঁদের একেবারেই নিয়ে যাবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। যেনো চোখের পলকেই নাই হয়ে গেলো জলজ্যান্ত দু’জন মানুষ।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm