রাজাখালীর সন্ত্রাসী মামুন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, এলাকায় আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে (৩৭) কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
গ্রেপ্তার মামুন বাকলিয়া থানার রাজাখালী ফায়ার সার্ভিসের বাচুর বাপের বাড়ির আমজু মিয়ার ছেলে।
ওসি মোহাম্মদ নেজাম জানান, গত রোববার মামুন তার ১০-১২জন সহযোগী নিয়ে জিয়াউল হক জিয়া নামের এক যুবককে (৩০) মধ্যযুগীয় কায়দায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি চাকু দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে জিয়াউল মুমুর্ষূ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হয়। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিমতে নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় তার আস্তানা থেকে একটি এলজি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ এবং দুটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জিয়াউল হকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জিয়া চমেক হাসপাতালে ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
জানা যায়, গ্রেপ্তার মামুন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার মামুন নগরীর ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজউল্লাহ বাহাদুরের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আর ছুরিকাঘাতে আহত জিয়া নগর যুবলীগ নেতা নুরুল আনোয়ারের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় মামুন জিয়াকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন।
তবে মামুন এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার গ্রেপ্তারে এলাকার জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে এবং এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে ১২টিরও বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি বাকলিয়া।
এইচটি/সিপি