অননুমোদিত ওষুধ ও বিনা লাইসেন্সে ব্যবসা পরিচালনা করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার দায়ে চট্টগ্রামের লালখান বাজারের তিন ফার্মেসিকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় লালখান বাজারের চানমারী রোডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান।
জরিমানা করা তিন ফার্মেসি হল মেসার্স পপুলার মেডিসিন, মাঝুরি মেডিসিন ও আলম মেডিকেয়ার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বলেন, অভিযানে প্রথমে মেসার্স পপুলার মেডিসিন সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ওষুধের প্যাকেটের মধ্যে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রেখে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত ওষুধ প্রশাসনের ইস্যুকৃত লাইসেন্সে স্পষ্ট উল্লেখ আছে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা যাবে না। তারা এইভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশি অননুমোদিত ওষুধ ও বিপুল পরিমাণে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ আইন অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই এলাকায় অবস্থিত মাঝুরি মেডিসিন এ গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে লাইসেন্স গ্রহণ করলেও পাইকারি কার্যক্রম অনেক দিন ধরেই পরিচালনা করছে। এছাড়াও ওষুধ রিজার্ভের জন্য দুটি আলাদা গুদাম রয়েছে। গুদামের জন্য ওষুধ প্রশাসনের কোনো অনুমতি প্রতিষ্ঠানটি নেয়নি। মূলত রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই খুচরা বিক্রির লাইসেন্স গ্রহণ করেও পাইকারি বিক্রি করছিলো প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ আইন অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আলম মেডি কেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কর হয় এবং লাইসেন্স করার জন্য ২০ দিন সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
জনস্বার্থে ভেজাল ওষুধ, বিদেশি অননুমোদিত ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান।
অভিযানে ওষুধ প্রশাসনের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।
এআরটি/এএইচ