চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তারা আর রাজনীতি করতে পারবেন না। শনিবার (১০ আগস্ট) কলেজটিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এই নেওয়া হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩ মার্চ একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও সুশৃংখল পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, স্লোগান ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হয়েছিল।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদসংগে অত্র মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১০ আগস্ট ২০২৪ তারিখ অনুষ্ঠিত জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক ও অন্যান্য সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো’।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ওই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পাঁচ দিনের মাথায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাড়াও দেশের আরও পাঁচ ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতির সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিললে তাঁর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার (১০ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাড়াও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া বাকি পাঁচ ক্যাম্পাস হলো— ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।
সিপি