রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : পাহাড় ধসের ৮ দিন পর রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যান চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে সাময়িকভাবে হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সড়কটি। সড়কটির শালবাগান এলাকায় সড়ক দিয়ে হালকা যান চলাচল উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। এ সময় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএন সিদ্দিকুর রহমান, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হোসেন, চট্টগ্রাম বিভগীয় কমিশনার রুহুল আমিন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আলতাফ হোসেন খান রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মো.মানজারুল মান্নান, জোন কমান্ডার রিদওয়ান ,পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানসহ সামরিক বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়কের বিধ্বস্ত অংশে সংস্কার ও মেরামত হওয়ায় নিজের গাড়িতে চড়ে রাঙ্গামাটি যান জিওসি। এর মধ্য দিয়ে ৯ দিনের মাথায় বুধবার বিকাল থেকে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে পুনরায় হালকা যান চলাচল শুরু হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম ছাড়াও রাঙ্গামাটি হতে কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বান্দরবান হালকা যান চলাচল করতে পারবে। তবে ভারি যান চলাচল সচল করে তুলতে আরও এক মাস লাগতে পারে বলে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের বিপর্যয়ে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে এতদিন রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন।
কয়েক দিনের কাজ শেষে বুধবার সড়ক দিয়ে হালকা যান চলাচল উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বয়ে রাঙ্গামাটির ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার ও মেরামত কাজ চলছে। এতে গত কয়েক দিনের মধ্যে বিধ্বস্ত হওয়া রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কটি তুলে আনা সম্ভব হয়েছে। এখনকার মৌসুমী ফল সবজি নিয়ে যাতায়ত করতে হালকা যান চলাচল করতে পারবে। স্থায়ী সমাধান হয়ে গেলে আগামী এক মাসের মধ্যে ভারি যান চলাচল উপযোগী করা সম্ভব হবে। তবে সড়ক যোগাযোগ পুন:স্থাপন স্থায়ী করে তুলতে আরও কম্পক্ষে দুই মাস লাগবে।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে এখন বড় গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। তা ছাড়া অধিক বৃষ্টিপাত হলে হালকা যান চলাচলও বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ১৩ জুনের পাহাড় ধসের বিপর্যয়ে রাঙ্গামাটিতে ব্যাপক প্রাণহানিসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। এতে মানুষজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবকিছুর স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এজন্য দরকার সবার সহযোগিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএন সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রথম ধাপের কাজে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যান চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। সামনে ঈদের পর আবার দ্বিতীয় ধাপের কাজ পুরোদমে শুরু হবে। তখন রাস্তার সংযোগ স্থাপন স্থায়ী করতে বিভিন্ন অংশে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সামনের ধাপে এই সড়ক দিয়ে ভারি যান চলাচল করতে পারবে। আগামী দুই/এক মাসের মধ্যে পুরোদমে কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।