রাঙামাটির পর এবার কক্সবাজারেও কলেজের নাম বদলে যাচ্ছে

রাঙামাটির রাবেতা মডেল কলেজের পর এবার কক্সবাজারের ঈদগাঁও ফরিদ আহমেদ কলেজের নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া পরিবর্তন করা হবে হবিগঞ্জের মাধবপুর, টাঙ্গাইলের বাশাইল, গাইবান্ধার ধর্মপুরের আরও তিনটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এই সবগুলো কলেজই স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে ছিল। এ কারণেই মূলত নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যে একটি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বাকি চারটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, রাঙামাটির রাবেতা মডেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে ইতিমধ্যে লংগদু মডেল কলেজ রাখা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা রাবেতা আলম আল ইসলামীর মাধ্যমে কলেজটি পরিচালিত হয়ে আসছিল বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত হওয়ার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া মীর কাশেম আলী ওই সংস্থার পরিচালক ছিলেন।

বাকি যে চারটি কলেজের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ফরিদ আহমেদ কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে ঈদগাঁও রশিদ আহমেদ কলেজ। স্বাধীনতাবিরোধী ফরিদ আহমদ পাকিস্তান সরকারের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। এখন যার নামে কলেজটির নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে, তিনি ফরিদ আহমদের ছোট ভাই রশিদ আহমদ।

এছাড়া হবিগঞ্জের মাধবপুর সৈয়দ সঈদউদ্দিন কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রি কলেজ। টাঙ্গাইলের বাশাইল এমদাদ হামিদা কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে বাশাইল ডিগ্রি কলেজ। গাইবান্ধার ধর্মপুর আব্দুল জব্বার কলেজ কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে ধর্মপুর ডিগ্রি কলেজ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়জুল করিম জানান, এক বছর আগে সারা দেশে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের নামে যেসব কলেজ রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাশাপাশি এসব কলেজের নাম পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, কলেজগুলোতে যুদ্ধাপরাধীদের নাম চিহ্নিত করে তা পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা/বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে নামকরণ করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিপি