রাঙামাটির আদালত পাড়ায় অভিযান, জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেপ্তার ৬

রাঙামাটির আদালতে ব্যবহৃত হচ্ছে জাল কোর্ট ফি, স্ট্যাম্প ও কার্টিজ পেপার। দীর্ঘদিন ধরে বিচারকদের মনে এ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে। ফলে আকস্মিকভাবে বিচারকেরা অভিযানে নামেন এবং সফলতাও মেলে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় আদালত পাড়ায় অভিযান চালিয় কয়েক লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন জাল স্ট্যাম্প, কোর্ট-ফি ও কার্টিজ পেপারসহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ অভিযান পরিচালনা করেন রাঙামাটির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএনএম মো. মোর্শেদ খাঁন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তী, সবুজ পাল, আসাদ উদ্দিন মো. আসিব ও জেলা আইন কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সানি কম্পিউটার অ্যান্ড স্টেশনারির মো. ইমাম উদ্দিন (২৫), আজমীর স্টোর অ্যান্ড স্টেশনারির কর্মচারী মো. গোলাম হোসেন আজিজ (২৮), রাঙামাটি স্টোরের মো. হাসান বিন ইব্রাহিম চৌধুরী (৩৫), আহমদিয়া স্টোরের কর্মচারী রাশেদুল আলম (৩০), আবু জাফর (৩৫) ও এইচ-২’র কর্মচারী আনন্দ চাকমা (৩২)। তাদের কোর্টের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযানে অংশ নেয়া একজন বিচার বলেন, ‘আসল স্ট্যাম্পের পেছনের দিকে আলো ধরলে জলছাপ দেখা যায়। নকলের বেলায় সেটা থাকে না। মূলত দীর্ঘদিনের সন্দেহ থেকেই এই সনাতন পদ্ধতিতে জাল স্ট্যাম্প শনাক্ত করে নিশ্চিত হয়েছি। তাই আজকের এ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জামির হোসেন জিয়া বলেন, ‘সরকারের জাল স্ট্যাম্প, কোর্ট-ফি সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়ে ২৫৮, ২৫৯ ও ২৬০ ধারা মোতাবেক গ্রেপ্তারকৃতদের আদালত জেলহাজতে পাঠান। তবে যে আইনে তাদের আটক করা হয়েছে মনে হচ্ছে তারা আগামী ৪-৩ মাস জামিন পাবে না। রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি জাল করার অপরাধে বাধ্য হয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!