রাঙামাটিতে নিহত ৩ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

রাঙামাটির রাজস্থলীতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত তিন ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে তিন জনের মরদেহ দাফন করেছে রাঙামাটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজস্থলী থানা পুলিশ মরদেহ তিনটি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আনে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো রাঙামাটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজস্থলী উপজেলার ২নম্বর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের বালুমুড়া মারমাপাড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) দু’পক্ষের ৩ সদস্য নিহত হন। তবে এ ঘটনার পর এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার জন্য আসা রাজস্থলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম বলেন, ‘সোমবার দুপুরে আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। পরে সন্ধ্যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মরদেহের খবর দিলে রাত ১০টায় আমরা তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ উদ্ধার করা অবস্থায় তিনজনেরই হাত বাধা অবস্থায় ছিল। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটিতে নিয়ে আসি। এখনও পর্যন্ত তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং কেউ তাদের নিতে আসেনি।’

রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহমদ বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত গুলিতে নিহত মরদেহ তিনটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরে রাঙামাটি পৌরসভাকে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’

রাঙামাটি পৌরসভার স্যানিটারি পরিদর্শক ফিরোজ আল মাহমুদ বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে রাজস্থলী থানা পুলিশ রাঙামাটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে অজ্ঞাত মরদেহ ৩টি বুঝিয়ে দেয়। বিকেলে রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি মহাশশ্মানে মাটি দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ২২ অক্টোবর একই উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও হেডম্যান দীপাময় তালকুদারকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতিও ছিলেন।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!