রাউজানের শ্রমজীবী নারীরা পেল কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের সহায়তা

চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নে চার দফায় ২ হাজার ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (২২ মে) ১০০ শ্রমজীবী নারীকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে সংস্থাটি।

কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল হক চৌধুরী লাভলু, ‘কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষ থেকে কদলপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৬০০ জনের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে রমজান মাসে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার ১০০ শ্রমজীবী নারীকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রাউজানে শত নারী শ্রমিকের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের সহায়তা
রাউজানে শত নারী শ্রমিকের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের সহায়তা

শুক্রবার খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল হক চৌধুরী লাভলু, সোয়েবুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ সাহেদ, তারা মিয়া প্রমুখ।

এদিকে করোনাভাইরাসে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৪ হাজার পরিবারের কাছে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসীদের জন্য উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন। দেশে থাকা তাদের পরিবারেও গেছে এই সংস্থার সহযোগিতা।

নগরীর চান্দগাঁও থানা এবং চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া এলাকায় মধ্যবিত্ত এবং কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বাইরে নাটোর, সাতক্ষীরা, রংপুর ও বান্দরবান জেলায়ও সংস্থাটি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাউজানের শত নারী শ্রমিক কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিচ্ছেন
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাউজানের শত নারী শ্রমিক কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিচ্ছেন

এ প্রসঙ্গে কাশেম-নূর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিগত বছরের রমজান মাসগুলোর চেয়ে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের থাবায় এবার রমজান শুরুর আগে মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দি হয়ে যায়। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে কাশেম-নূর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক হারে নগদ অর্থ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।’

হাসান মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘অন্যান্য বছর রোজাদারদের ইফতার এবং কোরআন তেলোয়াত, কেরাত, হামদ-নাত প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয় এ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। কিন্তু এবার করোনার কারণে মাহে রমজানে আমরা সেই আয়োজন করতে পারিনি। তাই নগদ অর্থ, খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পরিধি বাড়িয়ে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!