‘রহস্যজনক মৃত্যু’ কন্ঠশিল্পী রাজের, সিএনজিতে কারা ছিল খুঁজছে পুলিশ

তরুণ সঙ্গীত শিল্পী রাজকে হত্যার ৮ ঘণ্টা পরও কোন মোটিভ খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। চলন্ত সিএনজিতে কীভাবে এবং কেন এমন হত্যা, নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজের মৃত্যুকে ‘ডাকাতের গুলিতে’ বলা হলেও ঘটনাটি ‘রহস্যজনক’ হিসেবে দেখছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।

সন্ত্রাসী হামলায় বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টায় মারা যান দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের আঞ্চলিক গানের জনপ্রিয় শিল্পী জনি দে রাজ (১৮)। কক্সবাজার ঈদগাঁ বৈইজ্যাঘোনার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে হিমছড়ির ঢালু নামক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ধারণা করছে প্রশাসন। ফলে শিল্পী জনি দে রাজের বহনকারি সিএনজি অটোরিকশায় কারা ছিল খুঁজছে পুলিশ।

গানের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। তার চোখে ও শরীরের আঘাতে চিহৃ আছে বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

সঙ্গীত শিল্পী রাজা জনি দে রাজ কক্সবাজার রামু ঈদগড় ইউনিয়নের চরপাড়া (নতুনপাড়া) এলাকার তপন দে’র ছেলে। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আব্দুল হালিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, তিনি করোনায় আক্রান্ত। জানা মতে, ঘটনাটি রামু থানা ও ঈদগড়ের মধ্যবর্ত্তী এলাকা হিমছড়ির পাহাড়ের ঢালুতে। তবে গুলিতে নিহত কিনা এখনও নিশ্চিত না। নিহতের চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিএনজি অটোরিকশায় এই ঘটনা ঘটে। সিএনজিতে নিহত রাজের বাবাসহ আরও কয়েকজন ছিল বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলেও তার বাবা কিংবা পরিবারের কেউ পুলিশের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করেননি।

অসাধারণ গায়কী কণ্ঠে খুব কম সময়েই জনপ্রিয় হয়ে শিশু শিল্পী রাজ। তার মৃত্যুর খবর শুনে অনেক ভক্ত বেদনাদায়ক পোস্ট করে ফেসবুকে।
রামু থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শুনেছি দুষ্কৃতিকারীদের আঘাতে রাজ নামক একজন মারা গেছে। তবে ঘটনাস্থল রাম থানা এলাকায় না। নিহতের বাড়ি রামু এলাকায়। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

বিশ্বজিত/এসএ/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!