রক্ত দিতে চেয়ে ১ কোটি বাংলাদেশির সম্মতি ফেসবুকে

রক্ত দিতে চেয়ে ফেসবুকে সম্মতি জানিয়েছেন ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ‘ডোনেট ব্লাড’ কর্মসূচিতে ‘সাইনআপ’ বা সম্মতি জানিয়ে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিপুলসংখ্যক এই বাংলাদেশি। ফেসবুকে ২০১৭ সাল থেকে চলে আসা এই কর্মসূচিতে রক্তদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে সম্মতি জানিয়েছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ।

সোমবার (১৪ জুন) বাংলাদেশে ফেসবুকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির সময় জরুরিভিত্তিতে রক্তের স্বল্পতা মেটাতে গত বছর ফেসবুক এ ফিচারটি নতুনভাবে ২৬টিরও বেশি দেশে চালু করে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। ফেসবুকের ‘ডোনেট ব্লাড’ কর্মসূচিতে ‘সাইনআপ’ বা সম্মতি জানিয়ে এখন পর্যন্ত রক্তদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে— https://www.facebook.com/blooddonations/

চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কঠিন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্লাড ব্যাংকগুলোয় জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন রক্তদাতার। এ বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের আরও অনেক মানুষকে রক্তদানে আগ্রহী করতে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্লাডম্যান। দেশের মানুষকে স্থানীয় ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান যৌথভাবে ব্লাড ডোনেশন ফিচার চালু করে। আইসিটি ডিভিশনের সহযোগিতায় শুরু করা এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য, ফেসবুক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মানুষকে জানানো কোথায় রক্তের স্বল্পতা আছে এবং কখন রক্তদান করা নিরাপদ।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমিউনিটিভিত্তিক রক্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে ‘ফেসবুক ইভেন্টস’ নামে একটি নতুন ফিচার চালু করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এর মাধ্যমে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাদের প্রচার আরও বাড়াতে পারবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে।

ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি ম্যানেজার সাবহানাজ রশীদ দিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলার মাধ্যমে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। করোনা মহামারির সময়ে ব্লাডম্যান ও দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে মিলে রক্তের সুরক্ষিত যোগান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ফেসবুক।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!