বিয়ের পর থেকেই যৌতুক হিসেবে ফ্রিজ দিতে স্ত্রী এ্যানি আক্তারের ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী হারুন অর রশীদ। আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সেই ফ্রিজ দিতে পারেনি এ্যানির পরিবার। পরে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যৌতুকের পরিমাণও। এরপর পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে এ্যানির ওপর চওড়া হয় স্বামী হারুন। তখনও ব্যর্থ হলে এ্যানিকে হত্যা করেন হারুন।
সেই হত্যা মামলায় ১০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে হারুন অর রশীদের। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার(৩০মে) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পঞ্চম দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন অর রশীদ নগরীর উত্তর হালিশহর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এলকার সাইটপাড়া ঠান্ডা মিয়ার গলির আবুল কালাম মিস্ত্রির ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহম্মেদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ২৪ অক্টোবর বিয়ের পর ফ্রিজের জন্য সীতাকুণ্ড এলাকার এ্যানি আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন হারুন। হারুনের যৌতুকের পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকে। ফ্রিজ থেকে শুরু হয়ে যৌতুকের পরিমাণ পরে দাঁড়ায় পাঁচ লাখ টাকায়। কিন্তু এ্যানির গরিব মা-বাবার পক্ষে এতো যৌতুক দেওয়া সম্ভব ছিল না। পরে বিয়ের দু’মাসের মাথায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর এ্যানিকে হত্যা করেন হারুন।
ঘটনার পর নিহতের বাবা মো.ইউনুস হারুন এবং এ্যানির শ্বশুর-শাশুড়িসহ তিনজনের নামে হালিশহর থানায় মামলা করেন। হালিশহর থানা পুলিশ শ্বশুর-শাশুড়িকে বাদ দিয়ে হারুনকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। সেই মামলায় ১০ বছর পর সাজা হয় হারুনের।
বিএস/ডিজে