যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সেনাপ্রধানের

দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিট সমূহকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন সেনানিবাসে নবগঠিত ৪টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন প্যারেডে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’

এর আগে অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আহমদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্যারেড কমান্ডার মেজর রিফাত উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুজকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করেন।

পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টেশন সদর দপ্তর রামু স্টাটিক সিগন্যাল কোম্পানি রামু, সিএমএইচ রামু এবং ১০ ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান ও উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তারা।

সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগকারি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। এ সময় অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার অঞ্চলের ৪টি ইউনিটের নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন রূপকল্প পোর্সেস গোল ২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো। এই ডিভিশন সকল প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে সফলভাবে নিয়োজিত রয়েছে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!