যুব ও জেন্ডারবান্ধব বাজেট প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সংলাপ

বেসরকারি সংস্থা বিটার আয়োজনে ‘যুব ও জেন্ডারবান্ধব বাজেট প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোডস্থ একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সহায়তায় অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের অ্যাকশন ফর ইমপেক্ট প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অফিসার কান্তা মল্লিকের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রজেক্ট ম্যানেজার এএইচএম হোসেন মনসুর এবং দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানে বিটা ইয়ুথ দলের সদস্যবৃন্দ সংলাপে অংশগ্রহণ করে চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উপস্থাপন করেন। প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল সিটি করপোরেশনের বাজেটে ক্লিনিকে ইয়ুথ কর্নার স্থাপন, তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা, যুবক-যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়ন ট্রেনিংয়ের জন্য কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপন, ইয়ুথদের সচেতনামূলক কার্যক্রম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ইয়ুথদের উদ্যোগ প্রভূতি ক্ষেত্রে বরাদ্দ রাখা যায় কিনা।

সংলাপ পূর্ব শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রজেক্ট ম্যানেজার এএইচএম হোসেন মনসুর বলেন, ‘ইয়ুথরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না, তারা লাইন পাচ্ছে না। বিটা ইয়ুথদের সচেতন করার জন্য কাজ করে। কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইয়ুথদের সংযোগ করিয়ে দেয়। সিটি করপোরেশনের ভবিষ্যৎ বাজেটে ইয়ুথদের জন্য কোনো ধরনের বরাদ্দ রাখা যায় কিনা, তা দেখা উচিত।’

সংলাপে ইয়ুথদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের থোক বরাদ্দ থাকে। তা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করা হয়। বাজেটের আগে এ ধরনের প্রস্তাব পেলে কিছু একটা করা যেত। সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষায় ভর্তুকি দিয়ে থাকে। শহরে জায়গা পাওয়া কষ্টকর। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে কাউন্সিলরগণ সহায়তা করবে, লোকবল সরবরাহ করবে। প্রতিটা ওয়ার্ডে ক্লিনিক করা সম্ভব নয়, তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডাক্তার আছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে- ইয়ুথদেরকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’

তিনি আরো বলেন ‘আমরা ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ না করলে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়তাম। বিটা ট্রেনিং দিচ্ছে, যুবকেরা সাহস পাচ্ছে। যুবক-যুবতীরা আগামী দিনের নাগরিক। তাদেরকে সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নেশা থেকে দূরে থাকলে কেউ যুবকদের ঠেকাতে পারবে না।’

এমএ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!