কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে যুদ্ধফেরত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সামরিক শাখার প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ওই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর নাম মোহাম্মদ ইলিয়াস (২৬)। তিনি ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১৫ সাব ব্লকের মৃত হাসান আহমেদের ছেলে।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ১টার দিকে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এম-৩৫ ব্লকের সাব মাঝি নূর আলমের চায়ের দোকান সংলগ্ন বাঁশের ব্রিজের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক আরেফিন জুয়েল।
আরেফিন জুয়েল বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ থেকে ১৫ দিন আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে আসে মোহাম্মদ ইলিয়াস। তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামরিক শাখার প্রধান। তিনি অস্ত্র চালানোর উপর উচ্চ পর্যায়ের চারটি সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্রতিটি প্রশিক্ষণ ৪ মাস করে মোট ১৬ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের প্রতিটি কোর্সকে এক তসকিল বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল ও ৫০ রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করা হয়। তাকে অস্ত্র-গুলিসহ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শোধ নিতে পুলিশকে গুলি
এদিকে মৌলভী ইলিয়াসকে আটকের ঘটনার জের ধরে রোববার ভোরে উখিয়া কুতুপালং মধুরছড়া ৪-এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-ব্লকে এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে আরসা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। এতে এক এপিবিএন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ এপিবিএন সদস্যের নাম মো. শাহরাজ (২৫)। তিনি মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক আরেফিন জুয়েল বলেন, রোববার ভোরে উখিয়ার মধুরছড়া ৪-এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএনের টহলদলের সদস্যকে লক্ষ্য করে আরসার ৩০ থেকে ৩৫ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পালটা গুলি ছুঁড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে মো. শাহরাজ নামের এপিবিএন পুলিশের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। এতে তার ডান উরু ও ডান হাতের আঙ্গুলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
আরেফিন জুয়েল বলেন, গোলাগুলি থেমে গেলে গুলিবিদ্ধ এপিবিএন সদস্যকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
ডিজে