যাত্রীবেশে ছিনতাইকালে রাউজানে চারজন গ্রেফতার

চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে যাত্রীবেশী চার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে রাউজান থানা পুলিশ।পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে রাউজান নোয়াপাড়া ও কাপ্তাই সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে এদের আটক করা হয়। পুলিশ আটককৃতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত টাকা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ছুরি ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আরমান, মো. মহিউদ্দিন, ইমন, রিপন।

রোববার (১৬ জুন) বিকেল পর্যন্ত এ অভিযানে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত সিএনজি চালক রিপন নামের এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে। এ সময় পুলিশ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত চট্টগ্রাম থ-১২-০১৯১ নম্বরের একটি সিএনজি অটোরিক্সাও আটক করে।

আটকৃত আরমানের দেওয়া তথ্যমতে, রোববার (১৬ জুন) ভোরে মহিউদ্দিন ও ইমনকে আটক করে।

রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মো. নুর নবী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শনিবার (১৫ জুন) চুয়েটের ছাত্র জীয়ন আহমেদ রাত এগারোটায় মোহরা থেকে সিএনজি করে চুয়েটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সিএনজি অটোরিক্সাটি রাউজান থানার বৈদ্যখোলা গেটে পৌঁছলে ছিনতাইকারীরা জিয়নকে ছুরি দেখিয়ে জিম্মি করে ফেলে। ছিনতাইকারীরা জিয়নকে চিৎকার না করে তার কাছে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র দিয়ে দিতে বলে। এ সময় জিয়ন তার পকেটে থাকা ১২০০ টাকা ছিনতাইকারীদের দিয়ে দেন। পরে কৌশলে ছিনতাইকারীকে ধরে চিৎকার শুরু করেন। এতে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারীরা নোয়াপাড়ার দিকে গেলে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মাছ ধরতে গিয়েছেন জানান। এই সময় জিয়ন আহমেদ তার হাতে থাকা গেঞ্জি দেখিয়ে ছিনতাইকারী আরমানকে শনাক্ত করেন।


এসএস/সিএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!