পলিথিনকে জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ দাবি করে এর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এখন থেকে নগরীর খাল-নালায় আবর্জনা ও পলিথিন ফেললে গুণতে হবে জরিমানা। নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) নগরীর আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এমনটা জানিয়েছেন চসিক মেয়র।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে যদি পলিথিন ফেলা বন্ধ না হয় কর্ণফুলী নদীও আস্তে আস্তে বুড়িগঙ্গা হয়ে ওঠবে। সেজন্য কর্ণফুলীকে বাঁচাতে আমরা জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছি।
সিডিএর মেগা প্রকল্পের জন্য নগরীর যেসব খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে তা দ্রুত অপসারণ না করলে চট্টগ্রাম শহর পানিতে ডুবে থাকবে বলেও আশঙ্কা করেন মেয়র।
বর্জ্যকে রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় সার উৎপন্ন করার একটি পদ্ধতি চালুর জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হচ্ছে বলেও জানান।
মেয়রের গৃহীত ১০০ দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে রেজাউল করিম বলেন, একশ দিনে সব হবে এমন তো নয়। আমি মাত্র কাজ শুরু করেছি, ভুল হলে শুধরে দিবেন। আমি মাইন্ড করবো না। আমার ইগো কম। আস্তে আস্ত সব সমস্যা সমাধান করা হবে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ঠিকাদারদের বকেয়া ২২ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিল দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ৩৩ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুতোষিক বাবদ ৬৭ লাখ ও সড়ক আলোকসজ্জার জন্য এক কোটি ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন বলেও সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সভায় চসিকের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আব্দুস সবুর লিটন ও আফরোজা কালাম, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়াসহ সিটি কর্পোরেশানের সিনিয়র অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিএস/এসএ