ম্যাজিস্ট্রেট দেখে দোকান বন্ধ করে পালালেন হাজারি গলির ওষুধ ব্যবসায়ীরা

প্রয়োজনীয় ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে হাজারি গলির অসাধু ব্যবসায়ীরা। যখনই এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান চলে তখনই দোকান বন্ধ করে উধাও হয়ে যায় তারা।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবরে চট্টগ্রামের হাজারী গলির অধিকাংশ ওষুধের দোকান বন্ধ পাওয়া গেছে। ভোক্তা অধিকারের অভিযানের পর আবার দোকানগুলো খুলতে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।

হাজারী গলির এক ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকে বলেন, আগে সামান্য অপরাধের জন্য লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুলিশ নিয়ে অভিযানে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই দোকান বন্ধ রেখেছে।

অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখার দায়ে সুপা এন্ড সন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ডিএনএস স্যালাইন। ওই স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে- এমন অভিযোগ রয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘বাজারে স্যালাইন নাই বলা হচ্ছে। আমরা সেটি তদারকি করতে এসেছি। এক ফার্মেসীকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করার পর দেখি অন্য সব ফার্মেসী বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আমরা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি, যেন ভোক্তা অধিকার বিরোধী কোনো অপরাধ এখানকার ব্যবসায়ীরা না করে।’

Yakub Group

এর আগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল এলাকায় চারটি ফার্মেসীকে বেশি দামে স্যালাইন বিক্রির দায়ে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!