মোবাইল চুরির অপবাদে পুলিশের এএসআই-এর হাতে যুবক খুন

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে বোনের মোবাইল চুরির অপবাদে এএসআই ইকবাল পারভেজ রায়হান এক যুবককে ভাটিয়ারি কলেজ রোড এলাকায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে নিহত যুবক এজাহারের (২৬) স্ত্রী ও শাশুড়ি।

অভিযুক্ত এস আই ইকবাল পারভেজ রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। একই ঘটনায় রায়হানের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমানকেও আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলা ভাটিয়ারি কলেজ রোড এলাকায় মোবাইল চুরির অপবাদে ইকবাল পারভেজ রায়হান নামের পুলিশের এক এএসআই এজাহার নামের যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে। এজাহার মিয়া ভাটিয়ারি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বালুর রাস্তা এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে।

প্রসংগত, গত ১৩ অক্টোবর রাত তিনটার সময় ভাটিয়ারি কলেজ পাড়া এলাকার শারমিন আক্তার নামের এক মহিলার দ্বিতীয় তলার ঘর থেকে একটি মোবাইল চুরি হয়। মোবাইল চুরির সন্দেহে এজাহার মিয়াকে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরদিন স্থানীয় ইউপি পরিষদে শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়ে যায়।

অভিযুক্ত এএসআই ইকবাল পারভেজ রায়হান খাগড়াছড়ি থানায় কর্মকর্তা ছিলেন, বর্তমানে পুলিশ লাইনে আছেন বলে জানান তার বোন শারমিন।

গতকাল সোমবার রাতে ভাটিয়ারি কলেজ পাড়া এলাকায় পুলিশের এএসআই এজহারকে বাড়িতে ডেকে এনে মোবাইল চুরি অভিযোগে এজাহার মিয়ার শ্বাশুড়ির সামনে তাকে নির্যাতন করতে থাকে।

এ ব্যাপারে এজাহার মিয়ার শাশুড়ি বলেন, আমরা মেয়ের জামাইকে বিনা কারণে সারারাত নির্যাতন করছে। আমার মেয়ের জামাই বলে মোবাইল চুরি করেছে পুলিশের এসআইএস বোনের তার জন্য তাকে কি অমানুষিক নির্যাতন করল। সকালে অর্ধমৃত অবস্থা হাসপাতলে নিতে নিতে সে মারা যায়।

এজাহার মিয়া স্ত্রী পপি আক্তার বলেন, আমার স্বামীর যদি কোন অপরাধ করে তবে পুলিশের হাতে নিতে পারতো। আর তাছাড়া আমার স্বামী এএসআই বোনের মোবাইল চুরি করে নাই।তাকে অন্যায়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, এজাহার মিয়া নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে যুবকের লাশ উদ্ধার করেছি।

তিনি আরো বলেন, লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!