মোছলেম সুফিয়ান বাবলু— কার কতো সম্পদ

চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা ও ব্যবসার মূলধনসহ কোটি টাকার মালিক। তবে তার সোফা, আলমিরাসহ মোট ১৭ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

অন্যদিকে ১৯ মামলার খড়গ মাথায় নিয়ে নির্বাচন করা বিএনপির সুফিয়ানের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে কোটি টাকার। জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নগদ আছে ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ব্যাংক জমা ১০ লাখ টাকা। তার বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য দিয়েছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদের হলফনামা অনুযায়ী তাঁর নগদ টাকা, ব্যাংক আমানত এবং ব্যবসার মূলধনের পরিমাণ ১ কোটি ৭৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮০ টাকা। তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৪ টাকা। বার্ষিক ব্যয় ১১ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৬ টাকা। তার স্ত্রীর আয় ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

তাঁর নামে দামপাড়া ইউসিবিএল ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ৪২০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকা আছে ১৮ লাখ। নিজ নামে ব্যাংকে আছে ১৬ লাখ টাকা। মোট টাকার পরিমাণ ৩৪ লাখ। নিজ নামে আছে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নিজের নামে ২টি ও স্ত্রীর নামে ১টি গাড়ি রয়েছে। ৩টি গাড়ির দাম ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

কধুরখীল ও লালখান বাজারে পৈত্রিক সম্পত্তির পরিমাণ ২ দশমিক ২৩ একর। ২টি বাড়ির মধ্যে লালখান বাজারে ৬ তলা বিশিষ্ট আবাসিক দালানের মূল্য ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৯৭২ টাকা। কৃষি জমির পরিমাণ ২ একর, মূল্য ১১ লাখ টাকা।

তাঁর ব্যবসার মোট মূলধনের পরিমাণ মেসার্স তিথী এন্টারপ্রাইজের ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মহানগর প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা। বাড়ির কৃষি জমি থেকে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৪ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আয় করেন ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

তাঁর স্ত্রীর রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ, দাম ১ লাখ টাকা। নগদ টাকা ১ লাখ ১৪ হাজার এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংকে এফডিআর ৫৬ লাখ টাকা।

হলফনামায় বাসার সোফা, আলমিরা, চেয়ার টেবিল, ড্রেসিং টেবিলসহ মোট আসবাবপত্রের দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ হাজার টাকা।

অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ানের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১৯টি মামলা আছে। যার ১১টি বিচারাধীন ও ৮টি তদন্তাধীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে মীমাংসা হওয়া দুটি মামলার একটিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। অপর মামলার অভিযোগপত্রে অব্যাহতি পেয়েছেন আবু সুফিয়ান।

তাঁর দাখিলকৃত হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, নগদ ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৩ টাকা আছে। ক্ল্যাসিক ডোরস এর ৫০ শতাংশ শেয়ার বাবদ আছে ৫ লাখ টাকা। ক্ল্যাসিক ডোরসের নামে জুবিলি রোড এবি ব্যাংক শাখা থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এরমধ্যে বর্তমানে ঋণের স্থিতির পরিমাণ ২৩ লাখ ৮৫৬ টাকা।

একটি কার ও একটি পিকআপ বাবদ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬ টাকা এবং নিজ নামে আছে ২০ তোলা স্বর্ণ, যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। বাসার আসবাবপত্রের মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে ৭৩ লাখ ২৮ হাজার ৪০২ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

আবু সুফিয়ানের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮৭ লাখ ২৬ হাজার ২৬৭ টাকা। এরমধ্যে বিল্ডিংয়ের মূল্য ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা। অকৃষি জমির মূল্য ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। চা বাগান ও মৎস্য খামার থেকে আয় ৬৯ হাজার ৬৭ টাকা। প্রথম স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমির মূল্য ৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি।

আবু সুফিয়ানের প্রথম স্ত্রীর কাছে নগদ ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬১৭ টাকাসহ ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে নগদ ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৮০ টাকাসহ ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৯৮০ টাকার সম্পদ রয়েছে।

জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ টাকা। অন্যান্য আয় আছে ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।

বাবলু নগদ ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মালিক। তাঁর ব্যাংক আমানত ১০ লাখ টাকা। আশিক গার্মেন্টসের ৩ হাজার শেয়ার বাবদ ৩ লাখ আর গাড়ি বাবদ ৫৭ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে তাঁর হলফনামায়।

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ১১ কাঠা জমি রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬৯ লাখ ৭ হাজার ও ২টি ফ্ল্যাট, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী বাবলুর কোন ঋণ নেই।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!