মোখায় মহেশখালীর দুশ্চিন্তা ভাঙা বেড়িবাঁধ

অতিপ্রবল রূপ নেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা মহেশখালী দ্বীপের মানুষের ভয় একমাত্র ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে। ভারী বৃষ্টির হলেই এলাকায় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোখায় মহেশখালীর সোনাদিয়া, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী, খুরুশকুল, ঈদগাঁওয়ের গোমাতলী, পোকখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস ঘটাতে পারে ধারণা স্থানীয়দের।

পাহাড়ধস ও জলোচ্ছ্বাসে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও এড়িয়ে যাচ্ছেন না অতীতের ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (১৩ মে) দুপুর থেকে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মহেশখালীর উপকূল এলাকায়। শনিবার রাত থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

তবে মোখায় সম্ভাব্য ক্ষতি ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াছিন শিমুল।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (01550028707) এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের (টেলিফোন- 02333371623) নম্বরে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে দুর্যোগকালীন দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনয়ন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ, ওষুধ এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে।

Yakub Group

এদিকে গত এক মাস ধরে মহেশখালীর কুতুবজোমের ঘটিভাঙায় সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মদদে প্যারাবন নিধন করে চিংড়িঘের তৈরি করা হয়েছে ফলে ওই ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোরের পানি প্রবেশ করতে পারে বলে দ্বীপের মানুষের আশঙ্কা রয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!