মেয়র অ্যাকাডেমি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন উদীয়মান ক্রিকেট অ্যাকাডেমি
মেয়র অ্যাকাডেমি কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম আয়োজনেই চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেল চট্টগ্রামের অন্যতম সফল ক্রিকেট কোচ ফিরোজ খানের উদীয়মান ক্রিকেট অ্যাকাডেমি।
২৭ জুন এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত মেয়র কাপের ফাইনালে উদীয়মান ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ৪ রানে ব্রাইট ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উদীয়মান নিজেদের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হারায় ৪ রান করা ইশতিয়াক রিপনকে। এক ওভার পর দলীয় অধিনায়ক কফিল উদ্দিন ব্রাইট ক্রিকেট অ্যাকাডেমির হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বোলিং করা শহীদুল ইসলামের প্রথম শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মাত্র ২ রান করে।
এরপর চারে নামা শাহাদাতকে রানের খাতা খুলতেই দেননি শহীদুল। আরমানউল্লাহ এসে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন একপ্রান্তে আগলে থাকা ফারহানে সাথে। তখনই বল হাতে নিজের ক্যারিশমা শুরু করেন ব্রাইটের অধিনায়ক লেগ স্পিনার রায়হান উদ্দিন। ম্যাচ সর্বোচ্চ ২৪ রান করা ফারহান জুয়েলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে নিজের ঝুলিতে প্রথম উইকেট নেন রায়হান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও উইকেটের দেখা পানি লেগি রায়হান। আরমানউল্লাহকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি।
এভাবে ব্রাইটের স্পিনারদের সামনে রান করতে হিমশিম খায় উদীয়মান ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ব্যাটসম্যানরা। তারা ১৯.৫ ওভারে মাত্র ৭৩ রানের মামুলি সংগ্রহে অলআউট হয়ে যায়। উদীয়মানের হয়ে আটে ব্যাট করতে নামা তানভির সাদাত ১৫ রানের ইনিংস না খেললে রান ততটুকুও হতো না। ব্রাইটের রায়হান, রাকিব ও শহীদুল নেন ৩টি করে উইকেট।
জবাবে প্রথম ওভারেই ব্রাইটের শহীদুলকে কোন রান করার আগেই স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সিরাজ শুভ। এরপর আব্দুল গফুর পন্টি আর দলীয় উইকেট রক্ষক ইরফানুল হক কায়েস মিলে দলকে ২১ রানের জুটি গড়ে দেন। এ দুজন যেভাবে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তখন মনে হয়েছিল জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র।
কিন্তু সেটিকে অনেক কঠিন এবং এক পর্যায়ে অসম্ভবে পরিণত করেন উদীয়মানের বোলাররা। কায়েস বলের সাথে পাল্লা দিয়ে (২৩ বলে ২৪ রান) রান তুলে দলকে রাস্তায় রাখার চেষ্টা করলেও দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা যেন যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিয়েছেন। ফলে খুব দ্রুতই ব্রাইটের সুন্দর রাস্তায় চলা ইনিংসটি পথ হারিয়ে গন্তব্যে পৌঁছার ৪ রান আগে থেমে যায়।
কায়েস ছাড়া আরে কেউ নিজেদের রানের চাকা দু’বার ঘুরাতে (দু’অঙ্কে) পারেননি। উদীয়মানের বাঁহাতি স্পিনার শোয়ের ৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে তুলে নেন ব্রাইটের দুটি মহামূল্যবান উইকেট (যার একটি ২৪ রান করা কায়েস)। ফাইনালে উদীয়মান ক্রিকেট অ্যাকাডেমির তানভীর শাদাত ম্যাচ সেরা হন। তাকে পুরস্কার প্রদান করেন সিজেকেএস অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম।
খেলা শেষে সন্ধ্যায় সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের আহ্বায়ক এবং সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলী আব্বাস। ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক এ কে এম আবদুল হান্নান আকবরের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন সিজেকেএস অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, ক্রিকেট কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান দিদারুল আলম চৌধুরী, সিজেকেএস যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শাহজাদা আলম, ক্রিকেট কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দীন হাসান, শওকত হোসাইন, সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য আছলাম মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন, সিজেকেএস কাউন্সিলর এস.এম শহীদুল ইসলাম, দিদারুল আলম দিদার, নাসির মিঞা, লিয়াকত আলী জসিম, হারুনুর রশিদ, রায়হান উদ্দিন রুবেলসহ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী অ্যাকাডেমির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ।