মেসির বর্ষসেরায় ভোট চুরির অভিযোগ
সোমবার রাতে মিলানের জমকালো অনুষ্ঠানে ফিফা বেস্ট প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টাইন এ ফুটবল মহাতারকার পুরস্কার জয়ের আনন্দ থমকে গেছে ভোট জালিয়াতির বিতর্কে। তিনটি দেশ থেকে তাদের ভোট জালিয়াতি বা বাতিল করার অভিযোগ এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, বানিজ্যিক দিক আর জনপ্রিয়তা বিবেচনায় এনে এবার পক্ষপাতিত্ব করেছে ফিফা। সেটা ছিল ধারণা। এবার তো গুরুতর অভিযোগ তুললেন ফুটবল দুনিয়ার বেশ কয়েকজন!
সুদান জাতীয় দলের কোচ ড্রাভকো লোগারুসিচ তাদের একজন। তিনি জানিয়েছেন, ফিফা বর্ষসেরার এ পুরস্কারে প্রথম পছন্দ হিসেবে ভোট দিয়েছিলেন মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে। কিন্তু সুদান কোচ পরে জানতে পারেন, তার ভোটটা পড়েছে মেসির বাক্সে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভোটের ফরমের ছবিও প্রকাশ করেছেন এ কোচ।
নিকারাগুয়ার দলের অধিনায়ক হুয়ান বারেরা বলেন, ‘আমি মেসিকে ভোট দেইনি। কিন্তু যারা মেসিকে ভোট দিয়েছেন, সেই অধিনায়কের লিস্টে আমার নাম দেখে অবাক হলাম। জানি না কিভাবে এটা সেখানে গেল।’ একইরকম অভিযোগ মিসর ফুটবল অ্যাসোয়িয়েশনের পক্ষ থেকেও এসেছে। তারা জানিয়েছে, মিসরের কোচ সাকি ঘারিব আর অধিনায়ক আহমেদ ইলমোহাম্মাদি দুজনই প্রথম ভোট দিয়েছেন স্বদেশি তারকা মোহাম্মদ সালাহকে, কিন্তু তাদের ভোট গণনাই করা হয়নি।
ফিফা তদন্তে করে জবাবে জানিয়েছে ব্যালটে ক্যাপিটাল লেটারে স্বাক্ষর দেওয়ায় তাদের ভোট বাতিল হয়েছে। ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারির স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক হলেও তা মিশরের ভোটিং ফর্মে ছিল না। সুদান কোচ জদ্রাভকো লুগারিসিচ ও নিরাকারাগুয়ার অধিনায়ক হোয়ান বারেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছেন। সঙ্গে ভোটিং পদ্ধতির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দুজনে।
লুগারিসিচের অভিযোগ মোহাম্মদ সালাহকে ভোট দিলেও ফিফার ভোটিং নথিপত্রে তার ভোট চলে গেছে মেসির নামে। বারেরা দাবী করেন, তিনি এবছর ভোট দেননি। গত বছর ভোট দিয়ে ছিলেন। কিন্তু ফিফার কাগজপত্র বলছে বার্সা সুপারস্টারই তার প্রথম পছন্দ। কিন্তু ফিফা বলছে, নিকারাগুয়া এফএ এর পাঠানো বৈধ ব্যালট দেখেই ভোট গণনা করা হয়েছে। তাহলে ভোট দিলো কে?