শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেটরা ২২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। দক্ষতা সম্পন্ন জাতি তৈরী করছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। শ্রম বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই চাহিদা মেটাতে বদ্ধপরিকর শিক্ষা বিভাগ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৪তম ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীপুমনি বলেন, মেরিন একাডেমি করাচিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা আবার ফিরিয়ে আনেন।
তিনি বলেন, শুরু থেকে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেটরা ২২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সাল থেকে ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ ফ্রি হ্রাস করেছেন।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায় বিশ্বে ১০তম। দেশে বিদেশে নারী ক্যাডেটরা সফলতার সাথে কাজ করছে। জাতির পিতার আদর্শে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ক্যাডেটদের ভূমিকা রাখতে হবে।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ৫৪তম ব্যাচের প্যারেড পরিদর্শন এবং পরে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের অধিভুক্তির আওতায় ২০১৩ সাল হতে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির নটিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স সম্মান কোর্স চালু করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কৃতকার্যের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ব্যাচ উক্ত কোর্স সম্পন্ন করেছে। গত ৫৭ বছরে একাডেমি এই পর্যন্ত মোট ৪৬০০ জন ক্যাডেটকে প্রশিক্ষিত করেছে।
জানা যায়, এবারের ৫৪তম ব্যাচে নটিক্যাল শাখায় ৪৯জন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৫৫জন ক্যাডেটসহ মোট ১০৪ জন ক্যাডেট দু’বছর মেয়াদি অ্যাকাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছে। সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মো. সালমান হাসান রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। এছাড়া এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তির জন্য নৌ শাখার আবু সালেহ এবং প্রকৌশল শাখার ইকবাল মাহমুদ ইকরা নৌ মন্ত্রণালয়ের রৌপ্য পদক অর্জন করেন।
এএস/এসএইচ