মৃত্যু পেরোল ২০০, চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত আরও ২৯৫

চট্টগ্রামে একদিনে আবারও ৬ জনের প্রাণহানি ঘটালো মহামারী করোনাভাইরাস। এই নিয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা পার হলো দুইশ। গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে নগরে ৫ জন ও উপজেলায় ১ জন। তাতে করে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলেন ২০৪ জন, যাদের মধ্যে ১৪৫ জন নগরের ও ৫৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে আরও ২৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২১৬ জন নগরের ও ৭৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। একদিনে ১ হাজার ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এসব রোগী পাওয়া যায়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১০ হাজার ৭৭২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭ হাজার ৫০২ জন নগরের ও ৩ হাজার ২৭০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। একইসময়ে নতুনভাবে করোনাজয় করেছেন ১৪ জন। ফলে এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৯ জন।

বুধবার (৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব মিলিয়ে মোট ১৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ২৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ২১৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৭৯ জন। একইসাথে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, যাদের ৫ জন নগরের ও ১ জন উপজেলার। এদিনও কক্সবাজার ল্যাবে চট্টগ্রামের কোন নমুনার পরীক্ষা হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ১৩ জনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ১১ জন নগরের ও ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে ২৮ জনের শরীরে। যাদের ১৩ জন নগরের ও ১৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে প্রতিদিনের মতো সর্বাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৫৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ১১৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের মধ্যে ৯৬ জন নগরের ও ১৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর আগের দিনেরও চট্টগ্রামের প্রথম ল্যাব হিসেবে একদিনে পাঁচশর উপরে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ৫৬ জন। যাদের ২৩ জন নগরের ও ৩৩ জন উপজেলার।

অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় ৩৯ জনের। যাদের ৩৭ জনই নগরের এবং বাকি ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে একটু কম ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করেই ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ জন নগরের ও ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এদিনও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৭৯ জনের মধ্যে আবারও সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ২৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। টানা তৃতীয় দিনের মতো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগীর খোঁজ মেলে রাউজানে, ১০ জন। এছাড়া চন্দনাইশ ও ফটিকছড়িতে ৮ জন করে, পটিয়ায় ৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে ৪ জন করে, লোহাগাড়া ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm