এক শ্রমিকের মৃত্যুর পর তার পরিচয় নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি। মৃত্যুর প্রায় ৭ ঘণ্টা পরও মনু মিয়া নামে ওই শ্রমিকের পরিবারের কোন সদস্য হাসপাতালে যোগাযোগ না করায় পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি চমেক পুলিশ ফাঁড়ি।
রেজিস্টার অনুযায়ী চমেক পুলিশ ফাঁড়ি বলছে, ‘শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পতেঙ্গা থানাধীন ১৫ নম্বর ঘাটে দুই জাহাজের চাপায় পড়ে আহত হয়েছেন মনু মিয়া (৬০)। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন অন্য এক শ্রমিক।’
তবে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এমন তথ্যের ভিত্তিতে পতেঙ্গা থানার কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ‘এ নামের কোন ব্যক্তি পতেঙ্গা এলাকায় দুর্ঘটনায় নিহত হয়নি। চমেক সূত্রে তথ্য পেয়ে পতেঙ্গা থানার একটি টিম ওই এলাকায় পরিদর্শন করার পর এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন ‘খবর পেয়ে আমি একজন অফিসার সেখানে পাঠিয়েছি তবে আমাদের এলাকায় এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নি।’
ওই সময়ে দায়িত্বরত চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বয়স্ক একজন লোককে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেকে নিয়ে আসে এক শ্রমিক। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে এখনো তার স্বজনরা কেউ আসেনি। লাশটি মর্গে পড়ে আছে।’
এএ/এসএস