মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ চেয়ে পার্কভিউ হসপিটালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট

চট্টগ্রামের আলোচিত-সমালোচিত পার্কভিউ হসপিটাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যুবরণ করা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইনের পরিবার তার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। এর আগে তারা পার্কভিউ হসপিটালের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় বারবার গিয়েও কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।

রোববার (৫ জুলাই) মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে হেলাল উদ্দিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান এ আবেদন করেন।

ওই আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ হোসাইন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গত ২ জুলাই সকাল সাড়ে সাতটায় তাকে নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হসপিটালে নেওয়া হয়। হসপিটালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে অষ্টম তলায় সিসিইউতে ভর্তি করতে বলা হয়। কিন্তু ওই ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চতুর্থ তলার ইউনিটে ভর্তি করতে বলেন। চতুর্থ তলায় গেলে তাকে আবার অষ্টম তলায় যেতে বলা হয়। এবার অষ্টম তলায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি রোগীর করোনা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে পরীক্ষার সনদ ছাড়া ভর্তি করা যাবে না।’ পরিবারের সদস্যরা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখানোর পরও কর্তৃপক্ষ রোগী ভর্তি করেনি। এভাবে প্রায় দেড়ঘণ্টা কেটে যায়। এ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় হসপিটালেই দেড় ঘন্টা পর সকাল নয়টায় মারা যান মোহাম্মদ হোসাইন।

হাইকোর্টে দায়ের করা একই আবেদনে হাসপাতালে ভর্তি না করার কারণে যেসব রোগী মারা যাচ্ছে তাদের পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত রোগী ভর্তি না করার বিষয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য পুলিশের একটি পৃথক হটলাইন চালুর পাশাপাশি যেসব হাসপাতাল বা ক্লিনিক রোগী ভর্তির বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ হোসাইন মারা যাওয়ার ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা পার্কভিউ হসপিটালের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় বারবার গিয়েও কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি বলে হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনে উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনার আগের দিন পার্কভিউ হাসপাতাল থেকে এক সপ্তাহের চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছিলেন মোহম্মদ হোসাইন। সে সময় হার্টের অসুখ নিয়েই পার্কভিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। প্রথম দফায়ও তাকে পার্কভিউতে ভর্তি করাতে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ হোসেনের পরিবারের সদস্যরা।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm