চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কলিমউল্ল্যা চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তবুও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়া দরকার।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ব্ছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে তিনি খাবার খেতে পারছেন না, নল দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে।
একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর সেনানী কলিমউল্ল্যা চৌধুরী ২০১১ সাল থেকেই অসুস্থ। তাকে পারিবারিক উদ্যোগে বিভিন্ন সময় ভারত, থাইল্যান্ডসহ একাধিক দেশে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এতদিন চিকিৎসাভার বহন করতে করতে পরিবারের অবস্থা এখন নাজুক। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম থেকে অংশ নেন কলিমউল্ল্যা চৌধুরী। তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতি নম্বর ০১১৫০০০৯৫৭৯। তিনি নগরীর চান্দগাঁওয়ের মো. সোলাইমান চৌধুরীর ছেলে। বর্তমানে তার পরিবার চকবাজারের বাসায় থাকেন। ৭৬ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধার এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। ৬০ এর দশকে তিনি চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর সস্বস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে খুনের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিমউল্ল্যা চৌধুরীর স্ত্রী বিলকিস কলিমউল্ল্যা বলেন, আমার স্বামী ২০১১ সাল থেকে অসুস্থ। ঢাকার বারডেম হাসপাতালে বিভিন্ন সময় ভর্তি ছিলেন। থাইল্যান্ড ও ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও তাকে চিকিৎসা করানো হয়। এরমধ্যে ২০১৯ সালে তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। এতোদিন পারিবারিক সক্ষমতায় আমরা তাকে চিকিৎসা করিয়েছি। আমার মুক্তিযোদ্ধা স্বামীকে বাচাঁতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।
চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ৬০ এর দশকে কলিমউল্ল্যা চৌধুরী কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তিনি মাঠে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ আমাদের খবর রাখে না। তিনি আমাদের বাতিঘর। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কলিমউল্ল্যা চৌধুরীকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর অনুরোধ জানাই।
আরএম/ডিজে