মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শফি হত্যায় ফারুকের আদালতে দায় স্বীকার

মুক্তিযোদ্ধা নুর আলীর (মৃত) ছেলে শফি হত্যা মামলায় শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর শনিবার (৪ জুলাই) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে মামলার প্রধান আসামি মো. ফারুক।

শনিবার মহানগর হাকিম খায়রুল আমিনের আদালতে হত্যার বিবরণ দিয়ে দায় স্বীকার করে সে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ফয়জুর রহমান ফারুকী।

ওসি ফারুকী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. ফারুককে আমরা শুক্রবার নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। শনিবার আদালতে সোপর্দ করলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, শফি হত্যাকাণ্ডের পর আসামি ফারুক প্রথমে পালিয়ে বরিশাল এলাকায় অবস্থান করে। ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে ফারুক মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। এ কারণে তার অবস্থান নির্ণয় করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলাম। দুইদিন আগে হালিশহর এলাকায় এসে আত্মগোপন করে ফারুক। গোপন খবরে তাকে হালিশহর আব্বাস পাড়া থেকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ নগরীর ডবলমুরিং এলাকায় নিজের বাড়ির একটি সাজনা গাছকে কেন্দ্র করে ফারুক তার ছোট ভাই আহমদ নবীর সাথে বিবাদ হয় শফির। ওরা কয়েকজনকে নিয়ে শফির উপর হামলা করে। ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হয়ে আহত শফিকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রয়োজন হলে ২৩ মার্চ তাকে নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ৪ এপ্রিল চমেক হাসপাতালে খালি হওয়া আইসিইউ বেডে আবার স্থানান্তর করা হয়েছিল তাকে। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত শফির পিতা মৃত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর আলীর নামে পশ্চিম মাদারবাড়িতে সড়কও রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ফারুক নুর আলীর ভাই আইয়ুব আলীর ছেলে।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm