মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যাকারী শওকত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নাছির হত্যা মামলার মূল আসামি শওকত হোসেন প্রকাশ চইল্যা (৪৫) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৬ মে) রাতে উপজেলার পূর্ব চরণদ্বীপ বড়ুয়া পাড়া সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ১০টি কার্তুজের খোসা, একটি রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করে।

পরে আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাছির হত্যায় জড়িত আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের দাবি- শুক্রবার (১৫ মে) রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাছির উদ্দিন হত্যা মামলার মূল আসামি শওকত হোসেন চইল্যার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ তাকে নিয়ে পূর্ব চরণদ্বীপ এলাকায় যাওয়ার পথে শনিবার রাতে বড়ুয়াপাড়া সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় চইল্যার সহযোগিরা ভারী অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।

এসময় সন্ত্রাসী চইল্যাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী শওকত হোসেনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

নিহত শওকত হোসেন একই এলাকার হাছি মিয়ার পুত্র।

প্রসঙ্গত শুক্রবার রাতে চরণদ্বীপের এক ধনাঢ্য ব্যক্তি খলিল তালুকদার বাড়ি এলাকায় যাকাতের টাকা বিলি করছিলেন। এ সময় স্থানীয় হাছি মিয়ার ছেলে জসিম ও মুক্তিযোদ্ধা আলী মদনের ছেলে লোকমানের মধ্যে বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

এ সময় জসিমের ভাই শওকত বন্দুক নিয়ে এ ঘটনায় অংশ নিয়ে লোকমানকে মারধর করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে লোকমানকে বাঁচাতে নাছির ও তাঁর বাবা আলী মদন এগিয়ে এলে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন। রাত ১টা ৪০ মিনিটে বাবা ও ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হলে ছেলে নাছিরকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। বাবা চিকিৎসাধীন আছেন।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!