মিসাইল কিনবে বাংলাদেশ, চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

0

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য মিডিয়াম রেঞ্জের মিসাইল কেনা হচ্ছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আধুনিক সমরাস্ত্রে মিসাইল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মিসাইল হচ্ছে স্ব-প্রণোদিত বা সেলফ প্রপেলড সিস্টেম। মিসাইল চারটি অংশ নিয়ে গঠিত— টার্গেটিং অথবা গাইডেন্স, ফ্লাইট সিস্টেম, ইঞ্জিন এবং ওআর হেড। ক্ষেত্রবিশেষে নানারকম কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, যেমন: ভুমি থেকে ভুমি এবং আকাশ থেকে ভুমি, আকাশ থেকে আকাশ, আকাশ থেকে ভূমি অথবা অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র।

s alam president – mobile

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সম্প্রতি সংযুক্ত মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম বা টাইগার এমএলআরএসসহ অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সংযোজন সমৃদ্ধ করেছে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা। শুধু সমর সরঞ্জাম কেনাই নয়, যুদ্ধের মাঠে এসবের নিখুঁত পরিচালনায় তাই যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকেও।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিন বাহিনীর আধুনিকায়নে সবকিছুই করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। জানান, এ বছরই আরও কিছু যুদ্ধ সরঞ্জাম যোগ হবে বাহিনীতে।

চট্টগ্রামে বুধবারের অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের পক্ষে সামরিক রীতিতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ১০টি ইউনিটকে জাতীয় পতাকা বা ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড এবং মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টকে দেওয়া হয় সম্মানসূচক নতুন পতাকা।

Yakub Group

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নিজস্ব টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনী যথেষ্ঠ শক্তিশালী ও অগ্রসর হয়েছে। যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় পতাকা একটি মর্যাদার প্রতীক। এই মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সশস্ত্র বাহিনীর।

সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত থাকবে— এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য মিডিয়াম রেঞ্জের মিসাইল কেনা হচ্ছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!