চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহতদের মধ্যে আইসিইউতে থাকা তাফসীর হাসানও মারা গেছেন। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩-তে।
শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাফসীরের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘ছেলেটির শারীরিক অবস্থা শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশি খারাপ হয়ে যায়। রাত ১০টায় আইসিইউর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত তাফসীর হাসান দুর্ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আবু নোমান খালেদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আবু নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর তাফসীর ও আয়াত পলিট্রমায় চলে যায়। তবে তাফসীরের জ্ঞান ফিরেছিল। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরে খারাপ হয়ে যায়। আসলে দু’জনেই এমন এক ট্রমায় চলে গিয়েছিল, সেটি থেকে ফেরা সম্ভব হয় না।’
এর আগে গত ২৯ জুলাই আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার থেকে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে গিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষকরা। খৈয়াছড়া এলাকায় রেলক্রসিংয়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস লাইনে উঠে এলে এটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার নিয়ে যায় চট্টগ্রামমুখি মহানগর প্রভাতী ট্রেন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চার শিক্ষক, ছয় শিক্ষার্থী ও মাইক্রোবাস চালক।
দুর্ঘটনায় একজন অক্ষত ও ছয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আয়াত হোসেন শুক্রবার দুপুরে আইসিইউতে মারা যান। সর্বশেষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাফসীর হাসানের।
আইএমই/ডিজে