চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের এক প্রবাসীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার আসামির নাম শেখ ফরিদ ওরফে শরীফ (৩৫)। তিনি উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার নোয়াপাড়া এলাকার মিছিল আহমেদের ছেলে।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী (মিডিয়া) এআরএম মোজাফ্ফর হোসেন। এর আগে শনিবার ভোররাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মহিউদ্দিনের বোন বাদি হয়ে জোরাগঞ্জ থানায় ৪ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতানামা ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম মো. মফিজ ওরফে মহিউদ্দিন (৪৫) দীর্ঘদিন ওমানপ্রবাসী ছিলেন এবং কিছুদিন আগে দেশে ফিরেন। ৪ বছর আগে শেখ ফরিদের সঙ্গে মহিউদ্দিনের বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। মহিউদ্দিন বোনের সংসারে সুখের কথা চিন্তা করে প্রবাসে থাকাকালে বোন জামাই শেখ ফরিদ উদ্দিনকে ব্যবসার জন্য ১৫ লাখ টাকা দেন। পরে দেশে ফিরে সেই ১৫ লাখ টাকা ফেরত চান মহিউদ্দিন। শেখ ফরিদ এবং তার পরিবার টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি মহিউদ্দিন তার বোনের শ্বশুর বাড়ি জোরারগঞ্জ নোয়াপাড়া এলাকায় ১৫ লাখ টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার হয়। এক পর্যায়ে শেখ ফরিদ এবং তার পরিবারে অন্যান্য লোকজন উত্তোজিত হয়ে প্রবাসী মহিউদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরতর জখম করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মো. সেলিম বলেন, প্রবাসী মো. মহিউদ্দিন খুনের ঘটনার প্রধান আসামি শেখ ফরিদ ওরফে শরীফকে র্যাব গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডিজে