চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ভারত সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় এক দ্বৈত নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তার বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে।
আটক ব্যক্তির নাম আশীষ পুরোহিত (৬৫)। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েতবাজার এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মিরসরাই উপজেলার অলিনগরের ২২০১/৬ নম্বর পিলারের ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অলিনগর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার খুরশিদ আলম৷
অলিনগর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার (নায়েব সুবেদার) খুরশিদ আলম বলেন, আশীষ পুরোহিত অলিনগর সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে তাকে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ভারতীয় আধার কার্ডের একটি স্ক্যান কপি, বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশীষ পুরোহিত জানান, চিকিৎসার জন্য অবৈধভাবে তিনি ভারত যাচ্ছিলেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য এবং অবৈধ পারাপারের দায়ে তাকে জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে আশীষ পুরোহিতের মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সঙ্গে ছবি রয়েছে। চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে আটক আশীষের কাছে আধার কার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সরকার এটি আমাকে দিয়েছে৷ কেন দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই৷’
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আটক আশীষ একজন দ্বৈত নাগরিক। তার নিকট বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভারতীয় আধার কার্ড পাওয়া যায়৷ ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় তাকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম আশীষ পুরোহিত। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার এনায়েতবাজার এলাকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নির্মল চন্দ্র পুরোহিতের ছেলে। এসময় তার কাছে ভারতীয় আধার কার্ড পাওয়া যায়৷ যেখানে দেখা যায়, তিনি পশ্চিম বঙ্গের কোলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকায় নস্কর পাড়া বাজারের বাসিন্দা নির্মল চন্দ্র পুরোহিতের ছেলে৷ দুটি পরিচয় পত্রে তার জন্ম তারিখ একই রয়েছে।’
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের করেরহাট অলিনগর এলাকা থেকে আশীষ পুরোহিত নামে একজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তার কাছে বাংলাদেশ এবং ভারতের পরিচয়পত্র রয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে হামলা এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় জড়িত কিনা—এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷