মিথ্যা পরিচয়ে মনোনয়নে ‘হঠাৎ আর্বিভাব’ জিন্নাত আরা বেগমের, অভিযোগ সিন্ডিকেট বাণিজ্যের

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে যেন বির্তকের শেষ নেই। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম সংরক্ষিত ১১ নম্বর ওয়ার্ড (ওয়ার্ড নম্বর—২৮,২৯ ও ৩৬) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন জিন্নাত আরা বেগম। এক্ষেত্রে শুধু মাত্র পদ-পদবি নয় মনোনয়ন বাগাতে বদলে ফেলেছেন নিজের নামও।

মনোনয়নপত্রে তার নাম জিন্নাত আরা বেগম হলেও তার প্রকৃত নাম জিন্নাত আরা লিপি। এছাড়াও মনোনয়ন পত্রে তিনি দাবি করেছেন তিনি ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের ৩ নম্বর ইউনিটে মহিলা সম্পাদক। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ওই পদবি তার নয়। এ পদে রয়েছেন মিসেস অঞ্জনা নন্দী নামের একজন।। ‘হঠাৎ আর্বিভাব’ ঘটা এই নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগে নেতৃবৃন্দের অভিযোগ শুধু এটুকুই নয়।

৩৬ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর ওই ওয়ার্ডে হঠাৎ আর্বিভাব ঘটে জিন্নাত আরা বেগমের। এছাড়াও সংরক্ষিত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কোন এলাকার স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী বাসিন্দা নয় জিন্নাত আরা বেগম। জিন্নাতের স্বামী জামশেদ বারিক বিল্ডিং শীল কলোনি এলাকায় রহমান মঞ্জিল নামে একটি ভবনের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন। তবে ওই এলাকায় শেখ নওশাদ (পিল্টু) নামের এক লোকের সাথে সিন্ডিকেট বাণিজ্য পাকাপোক্ত করতেই ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভুয়া পরিচয়ে বাগিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।

৩৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্ববায়ক সাইফুল আলম চৌধুরী বলেন ‘জিন্নাত আরা লিপির মিথ্যা পরিচয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আমরা মহানগর আওয়ামী লীগকে জানিয়েছি। এছাড়াও উপযু্ক্ত প্রমাণসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে চিঠি পাঠিয়েছি।’

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে একাধিকবার জিন্নাত আরা বেগমের সাথে যোগাযোগ করলেও তার সাড়া মেলেনি। তবে তার স্বামী জামশেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। নাম ভুল থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন ‘জন্ম সনদে নাম ভুল ছিল।’ সাংগঠনিক পদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফোনে তো সব কথা বলা যায় না। আপনি কাল আসেন প্র্যাকটিক্যালি সব জানতে পারবেন।’

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!