মিথ্যা ঘোষণায় ৩ ট্রাক পণ্য খালাসের ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে কাস্টমসে

জেপি শিটের ৪৩ হাজার ৩০ কেজির একটি চালানকে মাত্র ৩ হাজার ৩ কেজি দেখিয়ে খালাস নেওয়ার ঘটনা তদন্ত করছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অর্ডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রির্সাচ (এআইআর )শাখা। তদন্তে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের বিষয়ে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টম কশিশনার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি এআইআর শাখাকে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এটি একটি গুরুতর অপরাধ। তবে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে সামনের দিকে এগুতে চাই।’

প্রসঙ্গত, রোববার (৬ অক্টোবর)সন্ধ্যায় ৩টি কনটেইনারে জেপি শিটের একটি চালান আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমস। আটকের পর জেপি শিটের চালানবাহী তিনটি ট্রাক বন্দরের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ট্রাকগুলো হচ্ছে ঢাকা মেট্রো ট-২২৭৪২৮, ফেনী ট- ১১০৮০৩ ও ফেনী ট-১১০৭৮৮।

জানা গেছে, জেপি শিটের ৪৩ হাজার ৩০ কেজির চালানটি এমভি ক্যাপ মনটেরি নামে একটি জাহাজে করে জাপান থেকে আনে আমানুল্লাহ আয়রন ট্রেডার্স নামে ঢাকাভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেইট ইন-কর্পোরেশন নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল।

রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই এজেন্ট জেপি শিটের ওই চালানটি মাত্র ৩ হাজার ৩ কেজি দেখিয়ে খালাস করতে যায়। খালাসের সময় দেওয়া বিল অফ এন্ট্রিতে প্রকৃত ওজনের চেয়ে ৪০ হাজার ২৭ কেজি কম দেখানো হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জালিয়াতির এই ঘটনা জানার পর খালাসের প্রাক্কালে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটি আটক করে। এ সময় দেখা যায়, খালাসের সময় দেওয়া বিল অফ এন্ট্রির পুরোটাই ভুয়া। প্রকৃত বিল অফ এন্ট্রিতে ৪৩ হাজার ৩০ কেজির শুল্ক নির্ধারিত হয় দুই লাখ ৮৫ হাজার ২৫৫ টাকা। অন্যদিকে ভুয়া বিল অফ এন্ট্রিতে ৩ হাজার ৩ কেজির শুল্ক দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৬ হাজার ২০৩ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রির্সাচ (এআইআর ) শাখার উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিই। এতে আটক হয় তিন ট্রাক পণ্য। বিল অফ এন্ট্রির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!